সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিয়ে তো আর শুধু দু'জন মানুষের জীবনের নয়া ইনিংস নয়। সঙ্গে জড়িয়ে থাকে দু'টি পরিবারও। তার মানেই আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবের জমায়েত। নানা রীতিনীতি পালন, খাওয়াদাওয়ার আয়োজন। এলাহি ব্যবস্থাপনা করতে গিয়ে হয় দেদার খরচ। যার ফলে বহুক্ষেত্রেই দু'টি পরিবার বেশ আর্থিক সংকটের মুখে পড়েন। তবে কয়েকটি সহজ কৌশল অবলম্বন করলে খাওয়াদাওয়ায় খরচ কমিয়েও পেতে পারেন অতিথিদের প্রশংসা।
অতিথিদের আলাদা আলাদা বসার জায়গা করবেন না। পরিবর্তে বড় জায়গায় একসঙ্গে বসার ব্যবস্থা করুন। তাতে খরচ বাঁচবে অনেকটাই।
অতিথিদের জন্য় দিনে তিনবারের বেশি খাবারের আয়োজন করবেন না। তাতেই যথেষ্ট। কারণ, এমনিই বিয়েবাড়ির তেলমশলাযুক্ত খাবার খাওয়ার পর অনেকেরই খিদে পেতে দেরি নয়। তাই বেশি খাবার করলে তা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
বহু বিয়েবাড়িতে মিষ্টিমুখের জন্য আলাদা করে ব্যবস্থা করা থাকে। তাতে খরচ পড়ে বেশ খানিকটা বেশি। মিষ্টি নষ্টও হয় প্রচুর। তাই আলাদা করে বন্দোবস্ত করার প্রয়োজন নেই। যেখানে খাবার দিচ্ছেন, সেখানেই রাখুন মিষ্টির ব্যবস্থা।
বহু বিয়েবাড়িতে আলাদা করে ককটেল কাউন্টার থাকে। তাতে খরচও পড়ে কিছুটা। বাজেট নিয়ে সমস্যা হলে ককটেল কাউন্টারের বন্দোবস্ত না করতেও পারেন।
অনেক নবদম্পতি এখন নতুন জীবনের ইনিংস শুরুর মুহূর্তকে আরও স্মরণীয় করে রাখতে কেক কাটেন। ওই কেক এলাহি খাওয়াদাওয়ার আয়োজনের মাঝে কেউ কেউ ছুঁয়েও দেখতে চান না। ফলে তা নষ্ট হয়। অথচ টাকা যা যাওয়ার তা গেলই! তাই ভুল করেও কেক কাটতে যাবেন না। বিয়ের অনুষ্ঠানের তালিকা থেকে বাদ দিন।
অযথা এলাহি আয়োজনের প্রয়োজন নেই। অতিথি সেবাই আসল। ভেবেচিন্তে মেনু ঠিক করুন। তাই অতিথিদের যা খাওয়াবেন তা যেন সুস্বাদু হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। তাতে অতিথিরা খেয়েও তৃপ্তি পাবেন। আবার প্রশংসাও করবেন আপনাদের। অতিথিদের কাছ থেকে প্রশংসা কুড়োলে তবেই অনুষ্ঠানের সার্থকতা। নইলে হাজার খরচ করেও লাভ হবে না কিছুই।
