সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্ধ্যায় জলখাবারে এই খাবারের জুড়ি মেলা ভার। বাঙালির রসনা তৃপ্তিতে কলকাতার কাঠি রোলের জুড়ি মেলা ভার। পরোটার মধ্যে এগ, চিকেন বা মাটন দিয়ে বানানো নানা স্বাদের রোল যেন অমৃত। এহেন কলকাতার কাঠি রোল বিশ্বের দরবারে জিতে নিয়েছে সেরার শিরোপা। উৎসবের মরশুমে উদরপূর্তিতে কলকাতার কাঠি রোলের বিকল্প বাঙালির কাছে আর কী-ই বা হতে পারে? তাই এই কলকাতার এই বিশেষ খাবারের এই প্রাপ্তিতে সমস্ত চিন্তা ভুলে খেয়ে ফেলুন আপনার পছন্দের কাঠি রোল।
টেস্টঅ্যাটলাসে সারা দুনিয়ার র্যাপজাতীয় খাবারগুলির মধ্যে ষষ্ঠ স্থান জিতে নিয়েছে কলকাতার কাঠি রোল। তখন ব্রিটিশ শাসনকাল। কলকাতার এই কাঠি রোলের জন্ম ১৯৩০ সাল নাগাদ। কলকাতার নিউ মার্কেট চত্ত্বরের রেস্তোরাঁর বিফ কাবাব ছিল ইংরেজদের পছন্দের খাবার। প্রতিদিন সন্ধ্যায় নিউমার্কেটের দোকানে সেই কাবাব খেতেন ইংরেজরা। শোনা যায় ব্রিটিশ এক উর্ধ্বতনকে খুশি করার জন্যও এক অধস্তন কর্মচারী ভাবেন তাঁকে সেই কাবাব খাওয়াবেন। কিন্তু কাবাব খেতে গিয়ে হাতে তেল লাগলে যে চলবে না। তাই এক অন্য ফন্দি আঁটলেন রেস্তোরাঁর কাবাব বিক্রেতা থুরি তাঁর স্ত্রী। তিনিই ময়দা মেখে, পরোটা বানিয়ে, অল্প তেলে তা ভেজে তাতে ভরে দেন বিফ কাবাব। রোলের গায়ে জড়িয়ে দেন ভালো ব্লটিং পেপার, তেল শুষে নেওয়ার জন্য। ব্যস, সেই থেকেই শুরু হল কলকাতার কাঠি রোলের 'জার্নি'। লোকমুখে ছড়িয়ে পড়ে এর নাম। সঙ্গে পালটাতে থাকে স্বাদ পূরণের জন্য তাতে নানা স্বাদের মাংসের পুর। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে স্বাদের কথা মাথায় রেখে বিফ কাবাবের বদলে চিকেন, মাটন, এগ, পনির, ফিশ নানা স্বাদের রোল এসেছে রসনা তৃপ্তি করতে।
কলকাতার কাঠি রোল ষষ্ঠস্থানে থাকলেও বাকি আর কোন কোন র্যাপজাতীয় খাবার এই তালিকার সেরা পাঁচে জায়গা করে নিয়েছে দেখে নিন। প্রথমস্থানে রয়েছে গ্রিসের র্যাপজাতীয় খাবার 'গাইরোস'। দ্বিতীয়স্থানে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার খাবার 'সাংচু সাসাম', তৃতীয়স্থানে রয়েছে তুর্কির খাবার 'তানতুনি', চতুর্থস্থানে রয়েছে মেক্সিকোর খাবার 'এনচিলাডাস সুইজাস', পঞ্চমস্থানে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খাবার 'কার্নে আসাদা বুরিটো' এবং ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে ভারতের 'কাঠি রোল'। যে খাবারের জন্ম কলকাতায়।
