সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একসময় তাঁর রাজত্ব ছিল ইউরোপীয় ফুটবলে। এখন তিনি ইউরোপ থেকে অনেক দূরে। ভাটা পড়েছে ক্ষীপ্রতাতেও। চলতি মরশুমে কোপা আমেরিকা জিতলেও পুরনো খেলার ঝলক পাওয়া যায়নি লিওনেল মেসির পা থেকে। ভুগিয়েছে চোট-আঘাতের সমস্যা। তার পরও কীভাবে ফিফার 'সেরা' প্লেয়ারের পুরস্কার জয়ের তালিকায় তিনি ঢুকে পড়লেন, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
চলতি মরশুমে দেশ ও ক্লাবের জার্সিতে ৩০টা গোল করেছেন। অ্যাসিস্ট রয়েছে ১৯টা। যদিও কোপা আমেরিকাতে করেছেন মাত্র একটি গোল। চোট পাওয়ায় ফাইনালে পুরো ম্যাচ খেলতে পারেননি। ইন্টার মিয়ামির হয়ে সাপোটার্স শিল্ড জিতেছেন, কিন্তু এমএলএস কাপ জেতার সুযোগ হাতছাড়া করেছেন। নাম ছিল না ব্যালন ডি'ওর তালিকাতেও। কিন্তু সম্প্রতি ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলারদের মধ্যে মনোনয়ন পেয়েছেন মেসি। ইউরোপের ক্লাবগুলোর বাইরে থেকে একমাত্র আর্জেন্টিনিয়ার তারকারই নাম আছে এই তালিকায়।
ফিফার ওয়েবসাইটে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, '৩৭ বছর বয়সি মেসির ইন্টার মিয়ামি ও আর্জেন্টিনার সাফল্যের পিছনে বড় অবদান রয়েছে। তাঁর অনবদ্য পারফরম্যান্সের ফলে মিয়ামি ২০২৪-এ সাপোটার্স শিল্ড জিতেছে। কোপা আমেরিকা জয়ী আর্জেন্টিনার অধিনায়ক ছিলেন মেসি। এছাড়া দক্ষিণ আমেরিকার বিশ্বকাপ যোগ্যতা অর্জন পর্বে ২৬ ম্যাচে ৬টি গোল করেছেন'। মেসি ছাড়াও মনোনীত ফুটবলারদের মধ্যে আছেন জুড বেলিংহ্যাম, দানি কার্ভাহাল, আর্লিং হালান্ড, টনি ক্রুস, কিলিয়ান এমবাপে, রদি, ভালভের্দে, ভিনিসিয়াস জুনিয়র, ফ্লোরিয়ান উইর্টজ, লামিনে ইয়ামাল। এঁদের মধ্যে ইয়ামাল সদ্য ফিফার 'গোল্ডেন বল' পুরস্কার পেয়েছেন।
তবে মেসিকে নিয়ে বিতর্ক থামছে না। গোলের সংখ্যায় রোনাল্ডো তাঁর থেকে অনেকটাই এগিয়ে। সৌদির ক্লাব আল নাসরের জার্সিতে ৪৯টা গোল ও ৭টা অ্যাসিস্ট করেছেন পর্তুগিজ তারকা। কিন্তু কোনও ট্রফি জেতেননি। তাহলে মোহম্মদ সালাহ বা হ্যারি কেনরা কেন বাদ পড়ছেন, সেই প্রশ্নও তুলছে অনেকে।