সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চল্লিশ পেরিয়েছে বয়স। যে বয়সে অন্য ফুটবলাররা বুটজোড়া তুলে রেখে দিব্যি অবসরযাপন করেন, সেই বয়সেও তিনি ছুটছেন। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। হাজার গোলের লক্ষ্যে আরও বেশি ‘ক্ষুধার্ত’ দেখা যাচ্ছে তাঁকে। সোমবার বাইসাইকেল কিকে অনবদ্য গোলে মুগ্ধ করেছেন ফুটবলবিশ্বকে। অন্যদিকে, গোল করে ইন্টার মায়ামিকে ইস্টার্ন কনফারেন্সের ফাইনালে তুলেছেন লিওলেন মেসি।
যেভাবে গোল করেছেন, তা চল্লিশ পেরনো কোনও ফুটবলারের জন্য মোটেও সহজ নয়। কিন্তু ফুটবলারের নাম যখন রোনাল্ডো, তখন 'ব্যতিক্রমী' কিছু ঘটবেই। আল খালেজের বিপক্ষে দ্বিতীয়ার্ধের সংযুক্তি সময়ে (৯০+৬) এমন অবিশ্বাস্য গোল করেছেন পাঁচবারের ব্যালন ডি'অর জয়ী ফুটবলার। ডান প্রান্ত থেকে ক্রস বাড়িয়েছিলেন নাওয়াফ বাওশাল। বক্সে ভাসানো বল বাজপাখির মতো উড়ে এসে দুরন্ত ভলিতে গোল করেন রোনাল্ডো। এমন কিকে হতচকিত হয়ে যান বিপক্ষ গোলকিপার আন্থনি মারেজ। ডানদিকে ঝাঁপিয়েও বলের নাগাল পাননি তিনি।
জুভেন্টাসের জার্সিতে আজ থেকে সাত বছর আগেও বাইসাইকেল কিকে অনেকটা এমনই গোল করেছিলেন সিআর৭। সব মিলিয়ে কেরিয়ারে এখন তিনি ৯৫৫টি গোলের মালিক। দ্রুত এগোচ্ছেন হাজারের লক্ষ্যমাত্রার দিকে। উল্লেখ্য, ম্যাচটিতে আল নাসের ৪-১ গোলে জিতেছে। রোনাল্ডো ছাড়া বাকি তিন গোল জোয়াও ফেলিক্স, ওয়েসলি রিবেইরো এবং সাদিও মানের।
ম্যাচের পর অবিশ্বাস্য গোলের ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন রোনাল্ডো নিজেই। যদিও সেই পোস্টটি ছিল এক অর্থে 'শিরোনামহীন'। অর্থাৎ ক্যাপশন দেওয়ার সুযোগ ছিল রোনাল্ডো অনুরাগীদের। সেখানে তিনি লেখেন, 'বেস্ট ক্যাপশন উইনস', 'সেরা ক্যাপশন যিনি দেবেন, তিনিই জিতবেন।’ এরপর সমর্থকরা যে যাঁর মতো ক্যাপশন দিয়েছেন।
অন্যদিকে, মেজর লিগ সকারের সকারের ইস্টার্ন কনফারেন্সের প্রথমবার ফাইনালে উঠেছে ইন্টার মায়ামি। এর প্লে-অফ সেমিফাইনালে সিনসিনাটিকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে মায়ামি। ১৯ মিনিটের মধ্যে মেসির গোলে এগিয়ে যায় তারা। সিনসিনাটির বিরুদ্ধে কেবল গোল করেননি, বরং করিয়েওছেন। দু'টি গোলের পাস বাড়ান তিনি।
