স্টাফ রিপোর্টার: গত মরশুমের মাঝে মোহনবাগানের ভোলবদলের অন্যতম কারিগর বলা হয় তাঁদের দু’জনকে। একজন এগিয়ে চলার পথ নির্ধারণ করেছেন ডাগআউটে দাঁড়িয়ে, অরেকজন মাঠে নেমে দলকে সেই পথে এগিয়ে নেওয়ার কাজে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আর মরশুম শেষে দু’জনেই অপেক্ষা করেছেন পুরনো ক্লাব থেকে ফের ডাক পাওয়ার।
যদিও কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাস এবং মিডফিল্ডার জনি কাউকো সেই ডাক পাননি। তবে জীবন থেমে থাকে না। হাবাস-কাউকোও থেমে যাননি। গুরু-শিষ্যের সামনে এবার নতুন চ্যালেঞ্জ, ইন্টার কাশীকে আই লিগ চ্যাম্পিয়ন করা। অবশ্য এখনও সবুজ-মেরুনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার প্রসঙ্গ উঠলে কিছুটা আবেগী হয়ে পড়েন হাবাস। শনিবার ইন্টার কাশীর ‘মিডিয়া ডে’ উপলক্ষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলছিলেন, “মোহনবাগান নতুন চুক্তির কথা বলেছিল। আমি একমাস অপেক্ষা করেছি। পরে জাতীয় দলের কোচ হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। তবে শেষ মুহূর্তে সেটাও হয়নি। এমন সময় ইন্টার কাশী যোগাযোগ করে। ওদের প্রস্তাব আমার পছন্দ হয়। তাই হ্যাঁ বলেছি।” তাঁর পরামর্শ মতোই নারায়ণ দাস, সার্থক গোলুইয়ের মতো ফুটবলারদের দলে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাবাস।
সে না হয় মোহনবাগানের সঙ্গে চুক্তি হয়নি। তাই বলে আইএসএলের সফলতম কোচ দেশের শীর্ষ পর্যায়ে কোনও ক্লাব পেলেন না, তাও কি হয়? হাবাসের জবাব, “মোহনবাগানের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে আলোচনায় অনেকটা সময় চলে যায়। ততদিনে ক্লাব নতুন কোচ সই করিয়ে ফেলে। তবে আমার কোনও আক্ষেপ নেই।” তাঁর অসুস্থতা সংক্রান্ত জল্পনার প্রসঙ্গ উঠতেই পাল্টা প্রশ্ন করলেন স্প্যানিশ কোচ, “আমাকে দেখে মনে হচ্ছে আমার শরীর ভালো নেই? আমি পুরোপুরি ফিট। আইএসএলের মাঝে আমার একটা সংক্রমণ হয়েছিল। চিকিৎসা করিয়ে আমি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরেছিলাম। আমার অসুস্থতা নিয়ে মিথ্যা খবর ছড়ানো হয়েছিল।”
অন্যদিকে, কাউকোও দ্রুত আই লিগের সঙ্গে মানিয়ে নিতে আগ্রহী। বলছিলেন, “জানি আইএসএল আর আই লিগ এক নয়। মোহনবাগান আর ইন্টার কাশীও আলাদা। এখানে ভরা স্টেডিয়ামে খেলা হবে না, ৬০ হাজার দর্শক আপনার নাম ধরে স্লোগান দেবে না। সমর্থকদের ভালোবাসা নিশ্চিতভাবেই মিস করব। তবে আমি এটাকে নতুন চ্যালেঞ্জ হিসাবেই দেখছি।” মোহনবাগানের সঙ্গে নতুন চুক্তি না হওয়া নিয়ে তাঁর জবাব, ফুটবলারদের জীবন এমনই।