সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যুবভারতী কাণ্ডে এবার টিকিট বিক্রির বরাত পাওয়া সংস্থা ‘ডিস্ট্রিক্ট বাই জম্যাটো’কে তলব করল তদন্তকারী দল। সূত্রের খবর কিছুদিন আগেই সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট মুখোমুখি হয়েছিলেন সিটের। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁকে টাকা ফেরত দেওয়ার উপায় ও পদ্ধতি নিয়ে জানতে চাওয়া হয়।
সূত্রের খবর, উত্তরে সংস্থার সহ-সভাপতি জানান, সংস্থার সঙ্গে শতদ্রু দত্তর তিনটে শহরের চুক্তি হয়েছিল। কলকাতা, নয়াদিল্লি ও মুম্বই। তিনটে শহরের মোট যা অর্থ দেওয়ার কথা ছিল শতদ্রুকে, তার বেশিরভাগটাই দেওয়া হয়ে গিয়েছে। মাত্র ৮ কোটি টাকা ‘ডিস্ট্রিক্ট'-এর কাছে বাকি আছে। সেটা যদি সিট বলে, তারা সেই টাকা তদন্তকারীদের তিনি দিয়ে দেবেন। কিন্তু, বাকি টাকা শতদ্রুকেই দিতে হবে বলে জানান সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট।
বস্তুত যুবভারতীতে মেসির অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলার পর থেকেই পুলিশ হেফাজতে অনুষ্ঠানের মূল উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্ত। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই পুলিশকে মুচলেকা দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, টিকিটের সব টাকা ফেরত দেওয়া হবে। কিন্তু বিষয়টি আর এগোয়নি। এর মধ্যে পুলিশি জেরায় শতদ্রু একাধিক বিস্ফোরক দাবি করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, “প্রথমে দেড়শো জনের গ্রাউন্ড অ্যাক্সেস কার্ড দেওয়া হয়। পরে প্রভাবশালীদের চাপে এই সংখ্যাটাকে তিনগুণ বাড়াতে হয়েছিল।” এখানেই শেষ নয়। তিনি আরও বলেন, “ভারত সফরের জন্য মেসিকে ৮৯ কোটি টাকা দেওয়া হয়। আর কর বাবদ ১১ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল ভারত সরকারকে।” অর্থাৎ সব মিলিয়ে ১০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। এর মধ্যে কিছুটা টাকা আসে স্পনসরদের কাছ থেকে। বাকিটা এসেছে টিকিট বিক্রি করে।
গোট ট্যুরের তিন শহরের ইভেন্টেই টিকিট বিক্রির দায়িত্বে ছিল ‘ডিস্ট্রিক্ট বাই জম্যাটো’ নামের অ্যাপ। ওই অ্যাপের এক শীর্ষকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সূত্রের খবর, সিট তাঁদের ফের জেরা করতে পারে। টিকিটে কত টাকা উঠেছে, সেটা কীভাবে ফেরত দেওয়া যায়, সবটাই জেরায় উঠে আসতে পারে।
