সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুপার কাপে নিষ্ফলা ডার্বি। গোলপার্থক্যে এগিয়ে থাকায় ড্র করেও সেমিফাইনালে উঠল ইস্টবেঙ্গল। শেষ চারে যাওয়ার লক্ষ্যে থাকা মোহনবাগানের ফুটবলে সৃজনশীলতার অভাব ছিল। প্রথমার্ধে একতরফা ফুটবল খেলে ইস্টবেঙ্গল। বিপিন-মহেশদের গতি, মাঝমাঠে রশিদ-মিগুয়েলের লড়াকু মানসিকতায় প্রবল চাপে পড়ে সবুজ-মেরুন। অন্যদিকে এমন একটা ‘মাস্ট উইন’ ম্যাচে মোহনবাগান কোচ মোলিনার রক্ষণাত্মক স্ট্র্যাটেজি নিয়েও প্রশ্ন উঠতে বাধ্য। মোলিনা অবশ্য দায় চাপিয়ে দিলেন স্ট্রাইকারদের উপর। আর লাল-হলুদের হেড স্যর অস্কারের হুঙ্কার, 'আমরা ভারতের সেরা ক্লাবগুলোর সমান।'
আইএফএ শিল্ডের ফাইনালে ডার্বি হারের পর গোয়ায় ড্র করেও 'প্রতিশোধ'। ম্যাচের পর অস্কার বললেন, "আমরা আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে রেখেছিলাম। গত তিনমাস ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছি। সবাই এখন ফিট। ডুরান্ড কাপ ও আইএফএ শিল্ডের ব্যর্থতা ভুলে আমরা সুপার কাপের সেমিফাইনালে উঠেছি। সবাই অসাধারণ খেলেছে। গতবছর আমরা কাউন্টার অ্যাটাকে ভরসা করতাম। যত কম গোল হজম করা যায়, সেই চেষ্টা করতাম। কিন্তু এবার আমরা জেতার জন্য ঝাঁপাই। আমরা হয়তো গোল পাইনি। কিন্তু গোটা ম্যাচে নিয়ন্ত্রণ ছিল। শুধু শেষ ১০-১৫ মিনিটে মোহনবাগান চেষ্টা করেছে।"
তারপরই অস্কারের হুঙ্কার, "আমরা আধিপত্য বজায় রাখতে চাই। আমরা ইতিমধ্যেই দেখিয়ে দিয়েছি যে, ভারতীয় ফুটবলের সেরা ক্লাবগুলোর মধ্যে ইস্টবেঙ্গল অন্যতম। দল এখনও একটা পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। অনেক নতুন প্লেয়ার আছে। তবে এখনও অনেক উন্নতি করতে হবে।"
অন্যদিকে মোলিনার মুখে-চোখে একরাশ হতাশা। যে ম্যাচ জিততেই হবে, সেই ম্যাচে দু'জন বিদেশি সেন্টার ব্যাক খেলালেন। ফলে স্টাইকারে একা ম্যাকলারেন। ইস্টবেঙ্গলের দুই শক্তিশালী বিদেশির বিরুদ্ধে মাঝমাঠের দখল নিতে হিমশিম খেলেন আপুইয়া, সাহালরা। কিন্তু মোলিনা ম্যাচের পর জানালেন, স্ট্রাইকাররা গোল করতে পারেননি বলেই ব্যর্থতা। তাহলে পেত্রাতোস, কামিংস, রবসনদের কেন বসিয়ে রাখা হল? ম্যাচের পর তাঁর আরও বক্তব্য, "আমাদের আরও উন্নতি করতে হবে। এই পর্যায়ের ফুটবল একেবারেই যথেষ্ট নয়। এবার আমাদের উন্নতির পথ খুঁজতে হবে।" পরে তাঁর আরও বিস্ফোরণ, "বছরের শুরুতে একজন বিদেশি সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার চেয়েছিলাম। যে খেলাটা কন্ট্রোল করতে পারে। কিন্তু আমি পাইনি। আমি মতামত দিলেও সিদ্ধান্ত ম্যানেজমেন্টের।"
