নাসাফ: ৩ (খাবিবুল্লায়েভা ২, জারিনা)
ইস্টবেঙ্গল: ০
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হল না স্বপ্নপূরণ। এএফসি উইমেন্স চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে গেলে প্রতিপক্ষ উজবেকিস্তানের পিএফসি নাসাফকে হারাতে পারলেই ভারতের প্রথম কোনও ক্লাব এই প্রতিযোগিতার শেষ আটে উঠত ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু লিগ টেবিলের শেষে থাকা দলের কাছে ০-৩ গোলে হার স্বীকার করতে হল মশাল গার্লসদের।
নাসাফ গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে শক্তিশালী উইহান জিয়াংদার সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করলেও পরের ম্যাচে বাম খাতুনের কাছে ০-১ গোলে হেরে গিয়েছিল। কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে তেড়েফুঁড়ে উঠল উজবেকিস্তানের ক্লাব। ১৭ মিনিটে এগিয়ে যায় নাসাফ। ডান দিক থেকে একটি নিচু পাস পেয়ে ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণ ভেদ করে বক্সে ঢুকে পড়েন দিয়োরাখন খাবিবুল্লায়েভা। গোল করতে ভুল করেননি তিনি। যদিও লাল-হলুদের ফুটবলাররা অফসাইডের আবেদন করেছিলেন। রেফারি 'ভার'-এর সাহায্য নেন। কিছুক্ষণ পর গোল নিশ্চিত করেন তিনি।
এরপর দুই পক্ষই বেশ কিছু সুযোগ পেলেও গোল করতে পারেনি। ৩২ মিনিটে নাসাফের আক্রমণ থেকে গোল হয়নি। ৩৮ মিনিটে লম্বা ফ্রিকিক থেকে সমতা ফেরাতে ব্যর্থ হয় লাল-হলুদের মেয়েরা। ৮ মিনিট অতিরিক্ত সময় দিয়েছিলেন রেফারি। তাতেও সমতায় ফিরতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। বিরতিতে যাওয়ার আগে স্কোর লাইন থাকে উজবেকিস্তানের ক্লাবের পক্ষে ১-০।
দ্বিতীয়ার্ধেও ইস্টবেঙ্গলের পরিস্থিতি বদলায়নি। বরং এই অর্ধে আরও দু'টো গোল হজম করতে হয়েছে লাল-হলুদকে। ৫২ মিনিটে জারিনা নরবোয়েভার গোলে ব্যবধান বাড়ায় উজবেকিস্তানের ঘরোয়া মহিলা লিগে ১৬ বার চ্যাম্পিয়ন দল নাসাফ। ম্যাচের একেবারে অন্তিমে (৯০+৭) মিনিটে খাবিবুল্লায়েভার গোলে ব্যবধান তিন গুণ করে। এই প্রতিযোগিতাকে মাথায় রেখেই এবার ইস্টবেঙ্গল শক্তিশালী দল গঠন করেছিল। শিলকি দেবীদের পাশাপাশি রেস্টি নার্জারিদের মতো বিদেশিদের সই করানো হয়েছে। যদিও তাঁরা রবিবারের ম্যাচে নিষ্প্রভ থাকলেন। মূলপর্বে দারুণ শুরু করেও টানা দুই ম্যাচ হেরে গেলেন মশাল গার্লসরা। তবে এখনও কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে ইস্টবেঙ্গলের। গ্রুপ পর্বের দু'টি সেরা তৃতীয় দল শেষ চারে যাবে। দুই দলের একটি ইস্টবেঙ্গল হলে নকআউট পর্বে যাওয়ার স্বপ্নপূরণ হবে তাদের। যদিও রবিবার ৩ গোলে হারায়, সেই সম্ভাবনা বেশ কম। গ্রুপের শেষ ম্যাচে বাম খাতুনকে অন্তত ৩ গোলে হারতে হবে উইহান জিয়াংদার কাছে।
