সুপার কাপে নিষ্ফলা ডার্বি। গোলপার্থক্যে এগিয়ে থাকায় ড্র করেও সেমিফাইনালে উঠল ইস্টবেঙ্গল। শেষ চারে যাওয়ার লক্ষ্যে থাকা মোহনবাগানের ফুটবলে সৃজনশীলতার অভাব ছিল। অন্যদিকে, ইস্টবেঙ্গলও যে ব্যাপক কিছু করেছে, তা কিন্তু নয়। তবে গোটা ম্যাচে, বিশেষ করে প্রথমার্ধে আধিপত্য নিয়ে খেলেছে লাল-হলুদ। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে মোহনবাগান। তবে মাঝমাঠের ভারসাম্যহীনতা বারবার নজরে পড়ছিল। সেই কারণে গোলের সুযোগও সেভাবে তৈরি হল না মেরিনার্সদের জন্য। খেলা শেষ হল গোলশূন্য অবস্থায়। গ্রুপ 'এ' থেকে শেষ চারে অস্কার ব্রুজোর ছেলেরা। অন্যদিকে, এমন একটা 'মাস্ট উইন' ম্যাচে মোহনবাগান কোচ মোলিনার রক্ষণাত্মক স্ট্র্যাটেজি নিয়েও প্রশ্ন উঠতে বাধ্য।
খেলা শেষ। গোল হল না। ড্র করে সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গল।
৯২ মিনিট: নির্বিষ কর্নার ইস্টবেঙ্গলের।
৫ মিনিট অতিরিক্ত সময়।
৯০ মিনিট: মহেশের জায়গায় নামলেন এডমুন্ড।
৮৬ মিনিট: চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন সল ক্রেসপো। তাঁর জায়গায় নামেন সৌভিক চক্রবর্তী।
৭৯ মিনিট:এবার জোড়া বদল ইস্টবেঙ্গলে। বিপিন, আহদাদের জায়গায় নামানো হল পিভি বিষ্ণু, হিরোশিকে।
৭৮ মিনিট: শুরুতেই গোলের সামনে চলে এসেছিল রবসনের সামনে। কোনও মতে ঠেকায় ইস্টবেঙ্গল।
৭৫ মিনিট: একগুচ্ছ বদল মোহনবাগানের। থাপা, মনবীর, লিস্টনকে তুলে রবসন, দিমি, দীপককে নামানো হয়।
৭৪ মিনিট: বক্সের ভেতরে একটি নিচু ক্রস রাখেন ম্যাকলারেন, ক্লিয়ার করেন আনোয়ার আলি।
৬৯ মিনিট: লিস্টনের ফ্রিকিক ইস্টবেঙ্গলের মানবপ্রাচীরে প্রতিহত হয়ে চলে আসে কামিংসের কাছে। তাঁর ভাসানো ক্রস থেকে হেড করেন অলড্রেড। বল চলে যায় পোস্টের উপর দিয়ে।
৬২ মিনিট: সাহালের জায়গায় নামলেন কামিংস।
৬১ মিনিট: জয় গুপ্তার শট বাঁচান কাইথ।
৬০ মিনিট: ফাঁকা গোল মিস করলেন আহদাদ। অনবদ্য দক্ষতায় গোল বাঁচান বিশাল কাইথ।
৫০ মিনিট: লিস্টন ফ্রিকিক নেন। অলড্রেড বলের কাছাকাছি চলে এলেও গোল করতে ব্যর্থ হন।
৪৬ মিনিট: সহজ সুযোগ নষ্ট মোহনবাগানের। আপুইয়ার কাছ থেকে সাজানো বল পেলেও হেড ঠিকমতো রাখতে পারলেন না লিস্টন। বল চলে যায় পোস্টের উপর দিয়ে।
দ্বিতীয়ার্ধ শুরু।
প্রথমার্ধ গোলশূন্য।
২ মিনিট অতিরিক্ত সময়।
৪২ মিনিট: মিগুয়েলের শট বাঁচান বিশাল কাইথ। বাঁ দিক থেকে কঠিন কোণ থেকে শট নিয়েছিলেন ব্রাজিলীয় তারকা।
৪০ মিনিট: লিস্টনের কাছ থেকে বল পেয়ে দূরপাল্লার শট নেন আপুইয়া। তাঁর শট তালুবন্দি করেন গিল।
৩৭ মিনিট: একক প্রচেষ্টায় মাঝমাঠ থেকে বড় কেড়ে নেন ম্যাকলারেন। গতি বাড়িয়ে বাঁ-দিকে লিস্টনকে বড় দেওয়ার চেষ্টা করেন। অনেকটা অ্যাওয়ে হয়ে হায় সেই পাস।
৩৫ মিনিট: এখনও পর্যন্ত আধিপত্য নিয়ে খেলছেন অস্কার ব্রুজোর ছেলেরা। অনেক বেশি সুযোগ তৈরি করছে তারা। তবে এখনও পর্যন্ত সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল।
৩৪ মিনিট: রেফারির সঙ্গে তর্ক করার জন্য মহেশকে হলুদ কার্ড দেখানো হয়। পরিস্থিতি বিচার করলে এটা কিছুটা অপ্রয়োজনীয়।
৩১ মিনিট: কর্নার পেলেও সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ মোহনবাগান।
২৮ মিনিট: প্রবল চাপে মোহনবাগান। নাওরেম মহেশের গোলে এগিয়ে যেতে পারত ইস্টবেঙ্গল। ক্রস ভাসিয়েছিলেন ক্রেসপো। বাঁ পায়ে শট নেন নাওরেম। শেষমেশ গোল হয়নি।
২৬ মিনিট: ইস্টবেঙ্গলের মিগুয়েল এবং মোহনবাগানের শুভাশিসকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি হরিশ কুণ্ডু।
২৪ মিনিট: আরও একটা সুযোগ ইস্টবেঙ্গলের। বিপিন সিংয়ের হেড পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়।
২২ মিনিট: সুযোগ এসে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গলের সামনে। আহদাদের হেড পোস্টের উপর দিয়ে চলে যায়।
১৯ মিনিট: মনবীর-ম্যাকলারেনের যুগলবন্দি দেখা গেলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি মোহনবাগানের জন্য।
ইস্টবেঙ্গলের তুলনায় কম বিদেশি নিয়ে খেলছে মোহনবাগান। প্রথম ১৫ মিনিটের খেলা শেষে লাল-হলুদের খেলায় ঝাঁজ বেশি।
৯ মিনিট: ফের আক্রমণে ইস্টবেঙ্গল। রশিদ একটি থ্রু বল বাড়ান আহাদকে। মাঝখান দিয়ে উঠে এসে আহাদ চেষ্টা করেন বটে। বাগান গোলকিপার বিশাল কাইথ সহজেই সেই বল গ্রিপ করেন।
৬ মিনিট: ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলাররা ফ্রিকিকের আবেদন করেন। রেফারি হরিশ কুণ্ডু মোহনবাগানকে গোলকিক দেন।
২ মিনিট: আক্রমণ ইস্টবেঙ্গলের। রাকিপের কাছ থেকে মিগুয়েল পাস পেয়ে গোলে শট রাখেন। মোহনবাগান ডিফেন্ডার আলবার্তো ব্লক করায় বিপদ হয়নি।
সন্ধে ৭.৩০: সুপার কাপে মেগা ডার্বির কিক অফ।
দেখে নিন মোহনবাগানের প্রথম একাদশ
বিশাল (গোলকিপার), অলড্রেড, রদ্রিগেজ, শুভাশিস (অধিনায়ক), থাপা, সামাদ, আপুইয়া, লিস্টন, মনবীর, ম্যাকলারেন, মেহতাব।
দেখে নিন ইস্টবেঙ্গলের প্রথম একাদশ
গিল (গোলকিপার), আনোয়ার, সিবিয়ে, রাকিপ, জয়, মিগুয়েল, মহেশ, ক্রেসপো (অধিনায়ক), বিপিন, রশিদ, হামিদ।
