সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবার সুপার কাপের ফাইনাল। সেই ম্যাচে এফসি গোয়াকে হারাতে পারলে চলতি মরশুমে প্রথমবার ট্রফি জিতবে ইস্টবেঙ্গল। গোয়ার ঘরের মাঠে ম্যাচ। বলা বাহুল্যই যে, দর্শক সমর্থনের সিংহভাগ থাকবে মানোলো মার্কেজের দলের পক্ষে। তবে কম যাচ্ছেন না লাল-হলুদ সমর্থকরাও। সেমিফাইনালেও তাঁরা স্টেডিয়ামে হাজির ছিলেন। ফাইনালে ভারী সংখ্যায় না হলেও তাঁরা থাকবেন বলে মনে করা হচ্ছে। ২০২৪ সালের পর সুপার কাপ জিতে লাল-হলুদ সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটাতে চান ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা। ফাইনালের আগে সেসব না ভেবে সেরাটা দিতে চায় ইস্টবেঙ্গল। সে কথাই জানালেন লাল-হলুদের সহকারী কোচ।
ম্যাচের আগে সাংবাদিক সম্মেলনে বিনো জর্জ বলেন, "শেষবার আমরা সুপার কাপ ফাইনাল খেলেছিলাম ওড়িশায়। তখন কলকাতা থেকে প্রচুর সমর্থক মাঠে এসেছিলেন। গোয়াতেও গ্রুপ পর্বে বেশ কিছু সমর্থক মাঠে এসেছেন। তবে আগের ফাইনালে হোক কিংবা ডার্বি, যতটা সমর্থন পেয়েছিলাম, তা হয়তো এবার পাওয়া যাবে না। তবে এসব না ভেবে আমাদের লক্ষ্য হল, ফাইনালে নিজেদের সেরাটা তুলে ধরা।"
বিনো জর্জ আরও বলেন, "গোয়া ঘরের মাঠে ফাইনাল খেললেও কোনওভাবে পিছিয়ে থাকবে না ইস্টবেঙ্গল। আমরা তো এখানে কেবল অংশ নিতে আসিনি। সুপার কাপ জিততে এসেছি।" লাল-হলুদের সহকারী কোচের সঙ্গে এসেছিলেন স্প্যানিশ ফুটবলার সল ক্রেসপোও। বিপক্ষ দলে রয়েছে আরও এক স্প্যানিশ ফুটবলার বোরহা হেরেরা। যাঁকে ক্রেসপো চেনেন। লাল-হলুদের স্প্যানিশ ফুটবলারের কথায়, "আমার বন্ধু বোরহা। তবে একবার খেলা শুরু হয়ে গেলে প্রতিপক্ষ দলের কেউ আমার বন্ধু নয়।" তাছাড়াও রশিদ এবং মিগুয়েলের সঙ্গে অসাধারণ রসায়ন প্রসঙ্গে তাঁর সংযোজন, "রশিদ এবং মিগুয়েলের অসাধারণ সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। মাঠের বাইরেও আমরা ভালো বন্ধু। একসঙ্গে আমরা লাঞ্চ করি। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতেও যাই। তাই আমাদের মধ্যে সুন্দর রসায়ন তৈরি হয়েছে। মাঠেও এর ছাপ পড়ে।"
ইস্টবেঙ্গলের মাঝমাঠকে আটকাতে বিশেষ পরিকল্পনা করছেন গোয়ার কোচ মানোলো মার্কেজ। তবে ইস্টবেঙ্গলকে সমীহর নজরে দেখছেন তিনি। তাঁর কথায়, "ছ'বছর ভারতে রয়েছি। আমার প্রথম মরশুমে রবি ফাওলার ইস্টবেঙ্গলের কোচ ছিলেন। এরপর কিন্তু ওরা অনেক উন্নতি করেছে। ইস্টবেঙ্গলের মাঝমাঠকে রুখে দেওয়ার জন্য বিশেষ পরিকল্পনাও রয়েছে। সুপার কাপে গত দুই মরশুমের চ্যাম্পিয়ন দল এবার ফাইনালে মুখোমুখি হবে। আশা করছি, তুল্যমূল্য লড়াই হতে চলেছে। পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে ওরা ভালো খেলেনি। তবে যোগ্য দল হিসাবেই ফাইনালে উঠেছে ইস্টবেঙ্গল।"
