প্রসূন বিশ্বাস: মোহনবাগান সমর্থকদের জন্য সুখবর। আগামী মরশুমেই কলকাতা লিগ ফিরতে পারে ক্লাবের নিজস্ব মাঠে। বার্ষিক সাধারণ সভাতেই কার্যত সেটা নিশ্চিত হয়ে গেল।
গত বছরও মোহনবাগানের বার্ষিক সাধারণ সভায় উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। সমর্থকদের মধ্যে ঝামেলারও খবর ছিল। সে তুলনায় এ বছরের এজিএম অনেক নির্বিঘ্নে এবং মসৃণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সমর্থকদের উপস্থিতিও ছিল নজরকাড়ার মতো। পাঁচশোর বেশি সবুজ-মেরুন সমর্থক শনিবার ক্লাব তাঁবুতে উপস্থিত ছিলেন। ২০২৪-২৫ আর্থিক বছরের ক্লাবের কাজের রিপোর্ট অনুমোদন করা হয় এই সভায়। এছাড়াও এদিন সভার শেষে সদ্য সাব জুনিয়র জাতীয় ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হওয়া বাংলা দলকে সংবর্ধনা দেন সৃঞ্জয় বোসরা। ২০২৫-'২৬ আর্থিক বছরে ক্লাবের অ্যাকাউন্টস দেখার জন্য অডিটর নিয়োগ করা হয় এই সভা থেকে।
এদিনের সভা থেকে প্রবীণ সদস্যদের জন্য বিশেষ উদ্যোগে ছাড়পত্র দিয়েছে ক্লাবের কার্যকরী কমিটি। কোনও সদস্য ৫০ বছর বা তার বেশি সময় ধরে ক্লাবের সদস্য থাকলে, তাঁকে আর সদস্যপদ নবীকরণ করতে হবে না। ক্লাবের তরফ থেকে আজীবন সদস্যপদ পাবেন তিনি। এ ছাড়া কোনও সদস্যের মৃত্যু হলে তাঁর পরিবারের কোনও সদস্য চাইলে ক্লাবের সদস্যপদ নিতে পারবেন নির্ঝঞ্ঝাটে। তবে সদস্যপদের চাঁদা তাঁকে দিতে হবে।
মোহনবাগানের বার্ষিক সাধারণ সভায় সাব জুনিয়র ফুটবলারদের সংবর্ধনা। ছবি: অমিত মৌলিক।
এছাড়া এদিনের বার্ষিক সাধারণ সভায় একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে। সব ঠিক থাকলে আগামী মরশুমেই মোহনবাগান মাঠে ফিরছে কলকাতা লিগের খেলা। এদিন ক্লাব কর্তাদের সঙ্গে আলাপচারিতায় কিছু সদস্য এ বিষয়টি নিয়ে সচিব ও সভাপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। ঘটনাচক্রে জুনিয়র জাতীয় ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন বাংলা দলের সংবর্ধনার জন্য এদিন ক্লাব তাঁবুতে উপস্থিত ছিলেন আইএফএ সভাপতি অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়। বিষয়টি নিয়ে আইএফএ সভাপতির দ্বারস্থ হন ক্লাব কর্তারা। তিনি জানিয়ে দেন, ক্লাবের মাঠ ঠিক থাকলে ৩ প্রধানের মাঠেই খেলা হতে কোনও সমস্যা নেই। আর মোহনবাগান যেহেতু এখনই অনুমতি দিয়ে দিচ্ছে, তাই আগামী মরশুমে ক্লাবের মাঠেই খেলা ফিরবে, এটা বলে দেওয়াই যায়।
এদিন সার্বিকভাবে বার্ষিক সাধারণ সভায় নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করছেন ক্লাব সচিব সৃঞ্জয় বোস। তিনি বলেন, "৫৩০ জন সদস্য এসেছিলেন। এজিএম খুব ভালো হয়েছে। কিছু প্রশ্ন তো আসবেই। প্রশ্ন করার সুযোগ পাচ্ছেন সমর্থকরা। এটা তো ভালো। সমর্থকরা একসঙ্গে আসছে। এটা ক্লাবের জন্য ভালো।" একই সুর সভাপতি দেবাশিস দত্তরও। তিনিও বলেন, "সদস্যদের আমরা বলতে দিই। আমরা কাউকে থামিয়ে দিই না। কিছু ক্ষোভ-দুঃখ থাকতে পারে। ইরানে না যাওয়া নিয়ে কিছু প্রশ্ন এসেছে। তবে এটা ক্লাবের জন্য ভালো।"
