জার্মানি: ৫ (ফ্লোরিয়ান উইর্টজ, কাই হাভার্ৎজ, জামাল মুসিয়ালা, নিকলস ফুলক্রুগ, চ্যান)
স্কটল্যান্ড: ১ (রুডিগার আত্মঘাতী)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আহা কী দেখিলাম! যেমন গতি, তেমন পাস। যেমন ক্ষিপ্রতা, তেমন সৃষ্টিশীলতা। যেমন গোলের পাস, তেমনই ফিনিশিং। রাত জেগে বাঙালি এই ফুটবলই তো দেখতে চায়। স্কটল্যান্ডের (Scotland) বিরুদ্ধে ইউরো কাপের প্রথম ম্যাচেই জার্মানি বুঝিয়ে দিল, ঘরের মাঠে কেন কাপ জেতার অন্যতম দাবিদার ধরা হচ্ছে তাদের। স্কটিশদের শুধু হারানো নয়, রীতিমতো দুরমুশ করে ছেড়ে দিলেন জার্মানরা। স্কোরবোর্ড বলছে, খেলার ফল ৫-১। কিন্তু খেলার যা গতিপ্রকৃতি দেখা গেল, তাতে আরও গোল হজম করতে হয়নি, সেটাই স্কটল্যান্ডের ভাগ্য।
শুক্রবার রাতে ঘরের মাঠে ইউরোর (Euro Cup 2024) প্রথম ম্যাচের একেবারে প্রথম মিনিট থেকে দাপট দেখানো শুরু করে জার্মানি। মুসিয়ালা, হাভার্ৎজ, উইর্টজদের মতো তরুণ তুর্কিদের গতি, দুর্দান্ত উইং প্লে, আর ডিরেক্ট পাসিং শুরু থেকেই অপ্রতিরোধ্য করে তুলেছিল জার্মানিকে। যে দাপটের সঙ্গে শুরুটা হয়েছিল, একেবারে শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত সেটা বজায় রাখলেন জার্মানরা। মাঝখানে পাঁচ পাঁচখানা বাঁধিয়ে রাখার মতো গোল। গোটা ম্যাচে জার্মানির আফসোস একটাই, শেষদিকে অপ্রত্যাশিতভাবে একটা গোল হজম করতে হল। ক্লিনশিট রাখতে পারলেন না নয়্যার। তাও আবার রুডিগারের আত্মঘাতী গোলের জেরে।
[আরও পড়ুন: ‘এবার শুধু অপেক্ষা…’, আচমকাই ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট হার্দিক পত্নী নাতাশার! কেন এমন লিখলেন?]
এদিন জার্মানির (Germany) প্রথম গোলটি এল ফ্লোরিয়ান উইর্টজের পা থেকে। ডান দিক থেকে আসা আড়াআড়ি বলকে বক্সের বাইরে থেকে নিখুঁত দক্ষতায় জালে জড়ালেন তরুণ জার্মান ফরওয়ার্ড। ম্যাচের বয়স সবে ১০ মিনিট। ৯ মিনিট বাদে ফের গোল। এবার আরেক তরুণ মুসিয়ালার পা থেকে। এটাও বিশ্বমানের। ২০ মিনিটের মধ্যে দুগোল হজম করে এমনিই ধুঁকছিল স্কটল্যান্ড। তাদের বিপদ আর বাড়ল প্রথমার্ধের একেবারে শেষ মুহুর্তে। বক্সের মধ্যে বিশ্রী ফাইল করে লালকার্ড দেখলেন ডিফেন্ডার প্রোটিয়াস। সেই সঙ্গে পেনাল্টি পেয়ে গেল জার্মানি। পেনাল্টি বক্স থেকে জালে বল জড়িয়ে ব্যবধান ৩-০ করে দিলেন হাভার্ৎজ।
[আরও পড়ুন: উইম্বলডনে বং কানেকশন, অল ইংল্যান্ড টেনিস ক্লাবে বাংলার চার অফিসিয়াল]
একটা গোটা অর্ধ ছন্দে থাকা জার্মানদের রুখতে হবে, তাও দশজনে। স্কটিশদের পক্ষে দ্বিতীয়ার্ধ হয়তো আরও দুঃস্বপ্নের হতে পারত। তবে সেটা তুলনামুলকভাবে কম ভয়ঙ্কর হল। দ্বিতীয়ার্ধে জার্মানরা দুটি গোল করলেন। প্রথমটি ৬৮ মিনিটে নিকলস ফুলক্রুগ করলেন দুরন্ত শটে। দ্বিতীয়টি এল শেষ মুহুর্তে এমরি চ্যানের পা থেকে। উলটে খেলার গতির সম্পুর্ণ বিপরীতে গিয়ে রুডিগারের মাথা থেকে একটি আত্মঘাতী গোল হজম করতে হল জার্মানদের। চুড়ান্ত স্কোরলাইন ৫-১। ইউরো কাপের ইতিহাসে এটাই জার্মানির সবচেয়ে বড় জয়। তবে শুধু পরিসংখ্যানের হিসাবে নয়, যেভাবে এদিন ন্যাগেলসম্যানের ছেলেরা নিজেদের মেলে ধরলেন সেটা ইউরোর বাকি দলগুলির ঘুম কাড়তে পারে। এদিন কিন্তু জার্মানিকে চ্যাম্পিয়নের মতোই দেখিয়েছে।