সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে ইউরো কাপ (Euro Cup 2024)। সেমিফাইনালের লড়াইয়ের অপেক্ষায় চার দল। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি নজর সম্ভবত স্পেন বনাম ফ্রান্সের দিকে। একদিকে নিকো-ইয়ামালদের তরুণ ব্রিগেড। অন্যদিকে এখনও গোলের সন্ধানে থাকা এমবাপেরা। শেষ পর্যন্ত শেষ হাসি হাসবেন কারা? অনেকে লা রোখাদের এগিয়ে রাখলেও লে ব্লুজও তৈরি প্রবল টক্কর দিতে।
স্পেনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভরসা তাঁদের তারুণ্য। নিকো উইলিয়ামসরা যে এভাবে দুরন্ত ফুটবল উপহার দেবেন, সেটা হয়তো প্রথম দিকে কেউই ভাবেননি। টুর্নামেন্ট যত গড়িয়েছে, তত উজ্জ্বল দেখিয়েছে তাঁদের। ১৬ বছরের কিশোর লামিনে ইয়ামাল ৩টে অ্যাসিস্ট করেছেন। মাঝমাঠে রয়েছেন রদ্রি, ফাবিয়ান রুইজরা। সাইডব্যাকে কুকুরেয়ার ফর্ম আশ্বস্ত করবে কোচ ফুয়েন্তেকে। আগুনে ফর্মে আছেন দানি ওলমোও।
[আরও পড়ুন: ভারতীয় ফুটবলপ্রেমীদের জন্য সুখবর! কোপার শেষ পর্ব হয়তো দূরদর্শনে]
তবে দুশ্চিন্তার জায়গাও রয়েছে তাঁর জন্য। এই মুহূর্তে স্পেনের সবচেয়ে বড় সমস্যা চোট-আঘাত আর কার্ড সমস্যা। জার্মানির বিরুদ্ধে চোট পেয়ে বেরিয়ে গিয়েছেন পেদ্রি। ইউরো থেকেই ছিটকে গিয়েছেন ২১ বছরের তারকা। অন্যদিকে কার্ড সমস্যায় নেই ডিফেন্ডার রবিন লে নরম্যান্ড আর দানি কার্ভাহাল। সেক্ষেত্রে নাচোকে সেন্টার ব্যাকে খেলিয়ে বর্ষীয়ান জেসুস নাভাসকে ফুল ব্যাকে নিয়ে আসতে পারেন। কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানির বিরুদ্ধে শেষের দিকে একের পর এক আক্রমণে রক্ষণের ফাঁকফোকর চোখে পড়েছে।
সেই তুলনায় অনেক বেশি সমস্যায় ফরাসি কোচ দিদিয়ের দেশঁ। গোটা টুর্নামেন্টে এখনও পর্যন্ত ওপেন প্লে থেকে গোল করতে পারেননি এমবাপেরা। একটি মাত্র গোল এসেছে পেনাল্টি। বাকিগুলো এসেছে বিপক্ষের আত্মঘাতী গোলের সৌজন্যে। এমবাপেও নিষ্প্রভ। নাকে চোট পাওয়ার পর মাস্ক নিয়ে মহাসমস্যায় তিনি। আক্রমণভাগের অন্য কোনও ফুটবলার সেই জায়গা নিতে পারছেন না। মার্কাস থুরাম, আন্তোনিও গ্রিজমান, অলিভিয়ার জিরু, কোলো মুয়ানি সবাইকেই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলানো হয়েছে। তাতেও গোল আসেনি।
[আরও পড়ুন: বিদেশ নয়, দেশের মাটিতেই ‘ড্রিম হোম’, ভারত ছাড়ার জল্পনার মাঝেই পোস্ট বিরাটের]
আক্রমণভাগ নিয়ে দুশ্চিন্তা থাকলেও ডিফেন্স হতাশ করেনি ফ্রান্সকে। টুর্নামেন্টে শুধু পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে একটি গোল খেয়েছে সালিবারা। ডিফেন্সের পাশাপাশি আক্রমণভাগেও ওঠেন সাইডব্যাক থিও হার্নান্দেজ। গোলের নিচে অপ্রতিরোধ্য মাইক মেনিয়ঁ। তার সঙ্গে রয়েছে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার এনগোলো কন্তের অক্লান্ত পরিশ্রম। গোটা মাঠ জুড়ে দাপিয়ে খেলেন তিনি। একাধিক ম্যাচের সেরার তকমাও পেয়েছেন। কিন্তু শেষরক্ষা কি করতে পারবে ফ্রান্স? ইউরোয় পরিসংখ্যান যদিও তাদের পক্ষেই। ইউরোপ সেরা টুর্নামেন্টে ৪টি ম্যাচের মধ্যে ফ্রান্স জিতেছে ২টিতে। একটি জয় স্পেনের। একটি ড্র। এবারও জিতবে কারা? তার উত্তর সময়ই দেবে।