আল নাসের: ২ (গ্যাব্রিয়াল, কামারা)
এফসি গোয়া: ১ (ব্রাইসন)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো আসেননি। খুব স্বাভাবিকভাবেই গোয়াবাসীর মন খারাপ ছিল। কিন্তু তাঁর দল আল নাসের এফসি গোয়ার মুখোমুখি। তাই ফুটবলারদের উজ্জীবিত করতে ফতোরদা স্টেডিয়ামে ব্যাপক সংখ্যায় হাজির হয়েছিলেন সমর্থকরা। ভিড়ে ঠাসা স্টেডিয়ামে শক্তির বিচারে কয়েক গুণ এগিয়ে থাকা আল নাসেরের বিরুদ্ধে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টু-এর ম্যাচে লড়াকু ফুটবল উপহার দিয়ে ১-২ গোলে হেরে গেল এফসি গোয়া।
সাদিও মানে, জোয়াও ফেলিক্সদের মতো তারকা ফুটবলারদের প্রথম একাদশে না রেখেই দল নামান আল নাসেরের কোচ জর্জে জেসুস। তাঁরা না নামলেও ঝড়ের গতিতে শুরু করে সৌদি প্রো লিগের ক্লাব। মুহুর্মুহু আক্রমণের সামনে বেশ বেকায়দায় পড়ে গোয়া। ৫ মিনিট গোয়ার বক্সে আয়মান একটি থ্রু বল পান। তার শট ব্লক করেন গোয়ার ডিফেন্ডাররা। এরপর অ্যাঞ্জেলো বাঁ-পায়ের জোরাল শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
তবে প্রথম গোল পেতে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি 'ফারিস নাজদ'দের। ১০ মিনিটে অ্যাঞ্জেলো গ্যাব্রিয়ালের গোলে এগিয়ে যায় আল নাসের। দূরপাল্লার শটে একেবারে ক্লিনিকাল ফিনিশ করেন ২০ বছর বয়সি ব্রাজিলীয় তারকা। ২৭ মিনিটে হারুন মুসা কামারার গোলে ব্যবধানও বাড়ে। ২৯ মিনিটে বরিস সিং ডান প্রান্তিক আক্রমণ শানিয়েছিলেন। বক্সে সেন্টারও রাখেন। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। ৪১ মিনিটে ব্যবধান কমায় গোয়া। মাথা ঠান্ডা রেখে গোল করেন গোয়ার ভূমিপুত্র ব্রাইসন ফার্নান্দেজ। বোরহার কাছ থেকে একটি থ্রু বল পেয়ে ডান পায়ের শটে জাল কাঁপান তিনি। বিরতির সময় স্কোর লাইন ছিল ২-১।
গোল পেয়ে পেয়ে উজ্জীবিত হয়ে দ্বিতীয়ার্ধে নামে গোয়া। এফসি গোয়ার শেষ তৃতীয় গোলে কামারা এবং আয়মান আক্রমণে একত্রিত হন। ৫৩ মিনিটে রেফারির কাছে পেনাল্টির আবেদন জানান কামারা। কর্ণপাত করেননি রেফারি। তবে, আক্রমণের পথ থেকে সরেনি আল নাসের। গোয়ার ডিফেন্সকে পরাস্ত করার সর্বাত্মক চেষ্টা করেন তাঁরা। এই সময় রক্ষণে বড় ভূমিকা নেন সন্দেশ ঝিংগান।
৬৬ মিনিটে এফসি গোয়া তিনটি পরিবর্তন আনে। অন্যদিকে, আল নাসরের হয়ে মাঠে নামেন সাদিও মানে এবং জোয়াও ফেলিক্স। দর্শকরা করতালি দিয়ে দুই ফুটবল তারকাকে স্বাগত জানান। এর পরেই ম্যাচের সহজতম সুযোগ হারান বরিস সিং থাংজাম। এর ঠিক পরেই আল নাসের গোলরক্ষককে বেন্টোকে একা পেয়েও বল গোলে ঠেলতে ব্যর্থ হন ২৫ বছর বয়সি গোয়ার এই ফুটবলার। এরপর হাল ছাড়েনি গোয়া। দমে না গিয়ে বাকি সময়টা খেলেন তারা। ৮৬ মিনিটে পরপর তিনটে কর্নার আদায় করে নেয় মানোলো মার্কেজের দল। শেষমেশ কোনও পক্ষই গোল করতে পারেনি। ১-২ গোলে হেরে গেলেও গোয়ার এই লড়াই তারিফযোগ্য।
