সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফরাসি ফুটবলারদের ইউরোয় কতটা মন আছে, তা যথেষ্ট তর্কের বিষয়। দিদিয়ের দেশঁ-র টিম কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে বটে, কিন্তু কিলিয়ান এমবাপেদের খেলায় সেই পরিচিত প্রাণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। গ্রুপ পর্ব আর নকআউট মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত মাত্র একটা গোল এসেছে ফরাসি প্লেয়ারদের পা থেকে। যা করেছেন এমবাপে, পেনাল্টি থেকে! বাকি সমস্ত আত্মঘাতী গোলে জয়। শেষ ষোলোর বিরুদ্ধে বেলজিয়াম ম্যাচও ফ্রান্স জিতেছে ভার্তোনগেনের আত্মঘাতী গোলে। যা দেখার পর জিওর্জিও কিয়েলিনির মতো কোনও কোনও প্রখ্যাত ইতালি প্রাক্তন বলে ফেলেছেন, “ফ্রান্সের সেরা স্ট্রাইকারের নাম তো আত্মঘাতী গোল!”
[আরও পড়ুন: কোহলিদের দেশে ফেরাতে দুর্যোগের মধ্যেই বার্বাডোজে এয়ার ইন্ডিয়ার বিশেষ বিমান]
অন্য সময় হলে নির্ঘাৎ ফরাসি (France) ছাউনি থেকে এর পাল্টা গুলিবর্ষণ চলত। ইউরোয় ইটালি কী করেছে না করেছে, কীভাবে বিদায় নিয়েছে, তার খতিয়ান পেশ করা হত। কিন্তু এ মুহূর্তে সে সব কিছুই হচ্ছে না। ফরাসি ফুটবলারদের মাথায় এখন একটাই বিষয় ঘুরছে। দেশের নির্বাচন ঘিরে আতঙ্ক! জুলস কৌন্দে যেমন। বেলজিয়াম-ফ্রান্স যুদ্ধের ম্যাচ সেরা। ইউরো (Euro Cup 2024) কোয়ার্টার ফাইনালে দল ওঠার পর যাঁর মুখে খেলা কম, নির্বাচনী হাওয়াবাতাস নিয়ে কথা শোনা গিয়েছে বেশি। আসলে ফ্রান্সে অতি উগ্র ডানপন্থী দলের ক্ষমতায় চলে আসার সম্ভাবনা প্রবল। নির্বাচনের প্রথম রাউন্ডের পর যারা কি না তেত্রিশ শতাংশ ভোট পেয়ে গিয়েছে। ফ্রান্স প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ-র অবস্থা বেশ খারাপ। প্রথম রাউন্ডে মাত্র একুশ শতাংশ ভোট পেয়েছে তাঁর দল। আর বামপন্থী দল পেয়েছে আঠাশ শতাংশ ভোট। যা দেখে রীতিমতো ভেঙে পড়েছেন ডিফেন্ডার কৌন্দে।
“আমি আমার দেশের মানুষের মনোভাব দেখে অত্যন্ত হতাশ। যে দিকে যাচ্ছে ফ্রান্স, তা একেবারেই কাম্য নয়। যে রাজনৈতিক দলকে সমর্থন জোগাচ্ছে, তা ফ্রান্সের মূল্যবোধের পরিপন্থী। এরা এমন এক রাজনৈতিক দল, যারা কি না মানুষে-মানুষে ভেদাভেদে বিশ্বাস করে। এরা নারী-পুরুষেও বিভেদ সৃষ্টি করতে চায়। তবে এখনও আমি আশা ছাড়িনি। নির্বাচনের দ্বিতীয় রাউন্ড এখনও বাকি রয়েছে।” বেলজিয়াম-বধ করে শেষ আটে ওঠার পর বলে দিয়েছেন কৌন্দে। উল্লেখ্য, অতি দক্ষিণপন্থী মারিল লি পেনের উত্থান নিয়ে আগেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন কিলিয়ান এমবাপে। এরপর আর ফ্রান্স ফুটবলারদের পক্ষে খেলায় মন দেওয়া সম্ভব তো?