সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জেলাভিত্তিক ফ্র্যাঞ্চাইজি ফুটবল প্রতিযোগিতা বেঙ্গল সুপার লিগের ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। জুলাই মাসে একঝাঁক প্রাক্তন ফুটবলারের উপস্থিতিতে বেঙ্গল সুপার লিগের ‘লোগো’ উন্মোচিত হয়েছিল। নিলামে দল তৈরি করেছে আটটি টিম। প্রতিযোগিতার ব্র্যান্ড আম্বাসেডর জার্মান কিংবদন্তি ফুটবলার লোথার ম্যাথাউস। ৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে চলা বিএসএল নিয়ে বাংলা ফুটবলে উন্মাদনা তুঙ্গে।
আইএফএ-র তত্ত্বাবধানে শ্রাচি স্পোর্টসের উদ্যোগে বেঙ্গল সুপার লিগ বাংলার ফুটবলের জন্য যুগান্তকারী প্রচেষ্টা বলে মনে করা হচ্ছে। রাজ্যজুড়ে ফুটবলের দীর্ঘমেয়াদি ও বাণিজ্যিকভাবে সফল একটি পরিকাঠামো নির্মাণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে বিএসএলের মাধ্যমে। যা তৃণমূল স্তরের ফুটবল উন্নয়নের সঙ্গে একটি পেশাদার পরিমণ্ডল গড়ে তুলবে। বাংলার তরুণ ফুটবলারদের বিএসএল একটি মঞ্চ দেবে।
৮টা জেলার দল নিয়ে এই লিগ হবে। ৮টি দলের হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে মোট ৬১টি ম্যাচ খেলা হবে। এই আটটি দল হল সুন্দরবন বেঙ্গল অটো এফসি, বর্ধমান ব্লাস্টার্স, বোলপুর কোপা টাইগার্স, এফসি মেদিনীপুর, হাওড়া হুগলি ওয়ারিয়ার্স, জেএইচআর রয়্যাল সিটি এফসি মালদা-মুর্শিদাবাদ, নর্থবেঙ্গল ইউনাইটেড এফসি, নর্থ চব্বিশ পরগনা এফসি। লিগের পর নকআউট পর্বের খেলা হবে। নকআউট পর্বে প্লেঅফ, এলিমিনেটর, কোয়ালিফায়ার, তৃতীয় পজিশনের ম্যাচ ও ফাইনাল হবে। আগামী বছরের জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে ফাইনাল হবে। প্রতিটা দলে সর্বনিম্ন ২৫টি ও সর্বোচ্চ ৩০জন প্লেয়ার থাকতে পারে।
এর মধ্যে সুন্দরবনের কোচ হয়েছেন মেহতাব হোসেন, হাওড়া-হুগলির কোচ জোসে ব্যারেটো, মালদা-মুর্শিদাবাদের কোচ শহিদ রমন, নর্থবেঙ্গলের কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য। জেলা স্টেডিয়ামগুলোতে ম্যাচ হওয়ায় সমর্থকরা একাত্ম হতে পারবেন। বিএসএলে ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক, জেলা ক্রীড়া প্রশাসন, স্পনসর, প্রচারসংস্থাগুলো একসঙ্গে কাজ করে ফুটবলের জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে তুলতে চায়। যার মাধ্যমে বাংলার সমৃদ্ধ ফুটবল সংস্কৃতিকে ভারতীয় ফুটবলে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করে তোলা লক্ষ্য বিএসএলের।
