স্টাফ রিপোর্টার: ইস্টবেঙ্গলের গোলকিপার কোচের পদ থেকে তিনি পদত্যাগ করেছেন সোমবার। সেই পদত্যাগ গৃহীত হয়েছে। তার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই ইমামি কর্তৃপক্ষকে অস্কারের বিরুদ্ধে পুরো বিষয়টি সবিস্তার লিখে চিঠি দিতে চলেছেন সন্দীপ নন্দী। শুধু ইমামি কর্তৃপক্ষই নয়, একইসঙ্গে ফেডারেশন, আইএফএ, এফপিএআইকেও চিঠি দেবেন তিনি। ভাবনা রয়েছে রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকেও পুরো বিষয়টি জানানোর। যদিও এই ইস্যুতে অস্কার ব্রুজোর পাশেই রয়েছে ইমামি। ইস্টবেঙ্গলের ইনভেস্টর কর্তারা বলছেন, যদি এতই ক্ষোভ ছিল, তাহলে কেন আগে জানানো হয়নি তাঁদের?
ইমামি কর্তা আদিত্য আগরওয়াল জানান, "এতদিন যদি এত সমস্যা ছিল সন্দীপের, তাহলে কেন ওঁ আগে এই সমস্যার কথা জানাননি? কাউকে নিয়েই আমাদের কিছু বলার নেই। আমরা কাজ করতে চাই। ফুটবলের উন্নতি করতে চাই। এটাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।” এদিন সন্দীপ জানান, "আমি কখনই ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে কাজ করব না এমন বলিনি। আমি বলেছি এই কোচের সঙ্গে আর কাজ করব না। জাতীয় দলে খেলা একজন ফুটবলারকে সম্মান করতে জানেন না এই কোচ।"
পুরো বিষয়টি লিখিত আকারে জানাচ্ছি ইমামি কর্তৃপক্ষকে। এরপর ফেডারেশন, এফপিএআই, আইএফএকেও জানাব। ইচ্ছে আছে রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রীকেও জানানোর। আমার পদত্যাগের পর সমর্থকদের একটা অংশ দেখছি আমার ও প্রভসুখনের সম্পর্ক নিয়ে মিথ্যা সংবাদ ছড়াচ্ছে। বলা হচ্ছে, আমি নাকি ইচ্ছে করে শিল্ড ফাইনালের আগের দিন অতিরিক্ত অনুশীলন করিয়ে ওর কাঁধ ব্যথা করিয়ে দিয়েছি। এই ধরনের কিছু ভুয়ো খবরগুলি প্রভসুখনের চোখে পড়েছে। ও আমাকে জানিয়েছে বিষয়টি। এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। এটাও আশা করি না।"
এদিকে, সোমবারই গোয়ায় পৌঁছে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। মঙ্গলবার থেকে গোয়ায় অনুশীলনে নেমে পড়ল গোটা দল। আইএফএ শিল্ডের ফাইনালে হারের পর সুপার কাপে ঘুরে দাঁড়ানোই চ্যালেঞ্জ অস্কার ব্রুজোর দলের কাছে। ঠিক তার আগে সন্দীপ নন্দীর এই ঘটনা কার্যত চাপে ফেলেছে ইস্টবেঙ্গল শিবিরকে। আগামী শনিবার সুপার কাপের উদ্বোধনী ম্যাচেই নামছে লাল-হলুদ বাহিনী। ৩১ অক্টোবর ফের ডার্বিতে নামতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল। স্বাভাবিকভাবেই মাঠের বাইরের চাপ কাটিয়ে নিজেদের সেরাটা মেলে ধরাই এখন প্রধান লক্ষ্য প্রভসুখন গিলদের।
