প্রসূন বিশ্বাস: তিনি মোহনবাগানের ঘরের ছেলে, মোহনবাগান রত্ন। সবুজ-মেরুন তাঁর প্রাণের রং। কিন্তু শনিবার আইএসএল ফাইনাল (ISL Final) দেখতে বসার আগে খানিক ধর্মসংকটের পরিস্থিতি। কারণ শনিবাসরীয় মহারণে প্রাণের ক্লাবের বিপক্ষে নামছে তাঁরই পুত্রসম জামাতা সুনীল ছেত্রীর ক্লাব বেঙ্গালুরু এফসি। কথা হচ্ছে সুব্রত ভট্টাচার্যের। যদি ময়দানের প্রিয় বাবলুদা কোনওরকম সংকটে নেই। ফোনে সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালকে তিনি সাফ বলে দিচ্ছেন, জামাইয়ের ক্লাব নয়, ফাইনালের লড়াইয়ে এগিয়ে মোহনবাগানই।

বয়স বেড়েছে। আগের মতো নিয়ম করে খেলা দেখা হয় না। তবে শনিবার ফাইনালে (ISL Final) তিনি টিভির সামনে বসবেন। প্রশ্ন হল, কার হয়ে গলা ফাটাবেন? প্রাণের ক্লাবের হয়ে নাকি জামাইয়ের ক্লাবের হয়ে? সুব্রত ভট্টাচার্য মৃদু হেসে প্রথমে বললেন, "যে ভালো খেলবে সে জিতুক। আমরা খেলাটা উপভোগ করতে চাই।" তবে লড়াইটা যে মোহনবাগান এগিয়ে থেকেই শুরু করবে, তা নিয়ে কোনও দ্বিধা-দ্বন্দ্ব সুব্রত ভট্টাচার্যের মনে নেই। বলছিলেন, "মোহনবাগান ক্লাবের ফরেনাররা যদি ভালো খেলে তাহলে মোহনবাগান জিতবে। বেঙ্গালুরুও ভারতীয় ফুটবলে সলিড জায়গায় আছে। কিন্তু শুধু সেটা যথেষ্ট নয়। বিদেশিদের মানে সবুজ-মেরুন এগিয়ে। তাঁরাই পার্থক্য গড়ে দিতে পারে।"
চলতি মরশুমে ঘরের মাঠে একটা ম্যাচেও হারেনি মোহনবাগান। লিগ পর্যায়ে রেকর্ড সংখ্যক পয়েন্ট পেয়েছে। সবচেয়ে কম গোল হজম করছে। এসব কি কোনওভাবে অতিরিক্ত আত্মতুষ্টির কারণ হতে পারে? সুব্রত ভট্টাচার্য তেমনটা মনে করছেন না। তিনি বলছেন, "মোহনবাগান যে টিম করে সেটা দায়িত্ববান প্লেয়ারদের দিয়েই করে।"
এমনিতে মোহনবাগানকে এগিয়ে রাখলেও জামাই সুনীলেরও ভূয়সী প্রশংসা করেছেন সুব্রত। "একটা ছেলের ফুটবলের প্রতি যার ভালোবাসা, ফুটবলকে ঘিরেই ও বড় হতে চেয়েছে। আমিই ওকে এনেছিলাম। আমি জানি। ও খুব একটা ড্রিবল করে না। কিন্তু যেটা করে সেটা খুব বিপজ্জনক।" বলে দিয়েছেন সুব্রত। তাহলে কি ফাইনালে জামাইয়ের পা থেকে গোল দেখতে চাইবেন? এ প্রশ্নে যেন খানিক বিরক্ত কিংবদন্তি ফুটবলার। বলে গেলেন, "না না মোহনবাগানের বিরুদ্ধে আমি কেন সুনীলের গোল চাইতে যাব? আমি মোহনবাগানি।"