সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রন্ধ্রে রন্ধ্রে ক্লাইম্যাক্স। তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করল ফুটবল দুনিয়া। নাটকও বোধহয় এতটা নাটকীয় হয় না। ইউরোপা লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচটাকে এভাবেই হয়তো ব্যাখ্যা করা যায়। ৯ গোলের রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে লিঁওকে হারিয়ে ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালে উঠল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড।
প্রথম লেগের ম্যাচের ফলাফল ছিল ২-২। দ্বিতীয় লেগের ম্যাচটির প্রথমার্ধে উজ্জীবিত ফুটবল খেলতে শুরু করে ম্যান ইউ। ফলাফলও মেলে হাতেনাতে। ১০ মিনিটের মধ্যেই ম্যানুয়েল উগার্তের গোলে এগিয়ে যায় ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড। বিরতির ঠিক আগে ফের গোল। ডিয়োগো দালোতের গোলে ম্যান ইউর পক্ষে স্কোরলাইন ২-০। অর্থাৎ, দুই লেগ মিলিয়ে ৪-২ গোলে এগিয়ে তখন সেমির স্বপ্ন দেখা শুরু করেছে রুবেন আমোরিমের দল।
কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের ৭১-৭৭ মিনিটের মধ্যে আচমকাই তাল কাটে। ৭১ মিনিটে লিওঁর পক্ষে গোল করেন তোলিসো। ছ'মিনিট পর ফের নিকোলাস তালিয়াফিকোর গোলে স্কোরলাইন ২-২। নির্ধারিত সময় আর গোল হয়নি। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ১০৪ মিনিটে লিঁওকে এগিয়ে দেন রায়ান চেরকি। ১০৯ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্যবধান (৪-২) বাড়ান আলেকজান্দ্রে লাকাজেত।
যখন সবাই ধরে নিয়েছিলেন লিঁওর সেমিফাইনাল যাওয়া সময়ের অপেক্ষা, তখনই অনবদ্য প্রত্যাবর্তন ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের। ১১৪ মিনিটে পেনাল্টি পায় তারা। ব্রুনো ফার্নান্দেজ গোল করতে ভুল করেননি। এখানেই শেষ নয়। ১২০ মিনিটের মাথায় কোবি মাইনোর গোলে সমতায় ফেরে ম্যান ইউ। নাটক তখনও শেষ হয়নি। মাত্র এক মিনিটের মধ্যেই হ্যারি ম্যাগুয়েরের গোলে ৫-৪ গোলে জিতে নেয় আমোরিমের দল। এভাবেই ৭-৬ এগ্রিগেটে এগিয়ে থেকে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ম্যান ইউ। ১ মে সেমিফাইনালের প্রথম লেগে অ্যাটলেটিক বিলবাওয়ের মুখোমুখি হবে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড। সেমির দ্বিতীয় লেগ ৮ মে।
