ইস্টবেঙ্গল: ১ (দিয়ামান্তোকোস)
নর্থইস্ট ইউনাইটেড: ০
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগের ম্যাচে ৯ জনে মহামেডানের বিরুদ্ধে ড্র। পকেটে ঢুকেছিল আইএসএলে প্রথম পয়েন্ট। সেই আত্মবিশ্বাস সঙ্গী করেই নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল। লক্ষ্য ছিল মরশুমের প্রথম জয়। আর ঘরের মাঠে নর্থইস্টকে হারিয়ে সেই লক্ষ্যপূরণ করল অস্কার ব্রুজোর দল। আলাদিনদের দলকে ১-০ গোলে হারিয়ে প্রথমবার ৩ পয়েন্ট পেল ইস্টবেঙ্গল।
যুবভারতীতে এদিন শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে শুরু করেন দিয়ামান্তোকোসরা। কার্ডের জন্য দলে ছিলেন না নাওরেম মহেশ ও নন্দকুমার। সেখানে সুযোগ পেয়ে কৃতিত্বের পরিচয় দিলেন পিভি বিষ্ণু। বাঁদিক থেকে তিনি বার বার ব্যতিব্যস্ত করছিলেন নর্থইস্টকে। শুরুতেই গোলের সুযোগ এসে গিয়েছিল তাঁর কাছে। যা প্রতিহত করেন নর্থইস্টের গোলকিপার গুরমীত সিং। খানিক পরে মাদিহ তালালের ফ্রিকিকও সেভ করেন গুরমীত।
কিন্তু বেশিক্ষণ সেই চাপ সামলাতে পারেনি নর্থইস্ট। ২৩ মিনিটে তালালের অসাধারণ ক্রস থেকে হেডে গোল করে যান দিয়ামান্তোকোস। নর্থইস্টের ডিফেন্ডারদের পিছনে ফেলে আচমকাই গোলের মুখ খুলে ফেলেন তিনি। যদিও পালটা সুযোগ এসেছিল আলাদিনের কাছে। কিন্তু তাঁর একটি হেড বারে লেগে প্রতিহত হয়। ফিরতি বলটিকেও কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। তবে হেক্টর ইউয়েস্তে চোট সারিয়ে ফিরলেও ডিফেন্স নিয়ে চিন্তা থাকবে। বিশেষ করে জিতিন এম এসের দৌড় বিপদে ফেলছিল ইস্টবেঙ্গলকে। সেক্ষেত্রে রক্ষাকর্তা হয়ে উঠল গিলের হাত।
ইস্টবেঙ্গলের কাজ আরও সহজ হয়ে যায় নর্থইস্টের বেমাম্মের ৭২ মিনিটে লাল কার্ড দেখায়। কিন্তু সেই আনন্দ বেশিক্ষণ টেকেনি। ৮৭ মিনিটে লাল কার্ড দেখেন ইস্টবেঙ্গলের চুংনুঙ্গাও। শেষ ১০ মিনিটে দশজনে খেলে দুদল। তখন আবার চাপ বাড়ায় নর্থইস্টই। একের পর এক ক্রস আছড়ে পড়ে লাল-হলুদের বক্সে। কিন্তু কাজের কাজটি করতে পারেনি নর্থইস্ট। অন্যদিকে ইস্টবেঙ্গলের একাধিক পেনাল্টির আবেদন খারিজ করা হয়। দিয়ামান্তোকোসের গোলই শেষ পর্যন্ত ব্যবধান গড়ে দেয়। এই জয়ের ফলে ৮ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট হল ইস্টবেঙ্গলের। তবে লিগ টেবিলের শেষ অবস্থানটা বদলায়নি।