সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাত পোহালেই আইএসএল কাপ ফাইনাল। যুবভারতীতে মোহনবাগানের মুখোমুখি বেঙ্গালুরু এফসি। সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে জামশেদপুরের বিরুদ্ধে প্রায় ষাট হাজার দর্শকের গর্জন আছড়ে পড়েছিল সল্টলেক স্টেডিয়ামে। কিন্তু ফাইনালের টিকিট নাকি ইতিমধ্যেই নিঃশেষ। 'সোল্ড আউট' বলে জানিয়েও দিয়েছে আইএসএল। অথচ অসংখ্য সাধারণ সভ্য-সমর্থকই টিকিট পাননি বলে জানা যাচ্ছে। সেই নিয়ে FSDL-এর অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করছেন মোহনবাগান সমর্থকরা। রীতিমতো ধিক্কার জানাচ্ছেন তারা।

সোশাল মিডিয়ায় মেরিনার্স বেস ক্যাম্পের তরফ থেকে FSDL-এর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে লেখা হয়, 'তোমরা চাও আমরা স্লোগান দিই, তোমরা আমাদের আবেগ দেখতে চাও। সেগুলো তোমাদের রিলের জন্য। আমাদের টিফো দেখাতে চাও ভিডিওতে। তোমরা ভরা স্টেডিয়াম দেখতে চাও-কারণ 'মোহনবাগানের আলট্রাস'দের ছাড়া তোমাদের 'ডিজিটাল এনগেজমেন্ট' আসলে শূন্য।'
কিন্তু এত টিকিট কীভাবে এত দ্রুত শেষ হয়ে যায়, সেটাও একটা প্রশ্ন। আর তাহলে এত হাহাকারই-বা কেন? নাহলে কি FSDL-র গোটা ব্যবস্থাপনাতেই কোনও গন্ডগোল আছে? সেই প্রশ্ন তোলার সঙ্গে প্রবল ধিক্কার জানিয়ে তারা লিখেছে, 'কিন্তু যখনই ফাইনালের টিকিটের মতো প্রসঙ্গ তোলা হয়, তখনই তোমরা আমাদের ভুলে যাও। আমরা যেভাবে গোটা লিগ জুড়ে সমর্থন জানিয়েছি, আর কেউ করেনি। যারা ভারতীয় ফুটবলকে ফের জাগিয়ে তুলল, তারাই কি না আজ মাঠের বাইরে। এইভাবে কণ্ঠরোধ করে তোমরা মনে করছে ফুটবলকে উদযাপন হিসেবে দেখাবে। FSDL-র লজ্জা হওয়া দরকার। কিন্তু মনে রেখো, তোমরা কখনই আমাদের সংস্কৃতিকে ছিনিয়ে নিতে পারবে না।'
বৃহস্পতিবারই আইএসএল কর্তৃপক্ষ সরকারিভাবে জানিয়ে দেয়, ফাইনালের আর কোনও টিকিট অবশিষ্ট নেই। যা ছিল সোল্ড আউট, সব নিঃশেষ। আসলে টেকনিক্যালি এই ম্যাচটা মোহনবাগানের হোম ম্যাচ নয়। প্রতিযোগিতার ফাইনাল হওয়ায় এই ম্যাচের আয়োজক এফএসডিএল। স্বাভাবিকভাবেই টিকিটের নিয়ন্ত্রণ করছে এফএসডিএলই। এই ম্যাচে মোহনবাগান ও বেঙ্গালুরুকে সমান সংখ্যক টিকিট দেবে তারা। সমস্যা হল বৃহস্পতিবার বিকালের দিকে প্রথম লটের টিকিট অনলাইনে বিক্রি শুরুর দুঘণ্টার মধ্যেই তা নিঃশেষ হয়ে যায়। সেটার পরও মোহনবাগান সমর্থকরা আশায় ছিলেন, হয়তো পরে আরও টিকিট ছাড়া হবে। কিন্তু বৃহস্পতিবারই আইএসএলের সোশাল মিডিয়া হ্যান্ডলগুলিতে জানিয়ে দেওয়া হল, আর কোনও টিকিট অবশিষ্ট নেই। সব শেষ। ফলে মাঠে কীভাবে খেলা দেখবেন ভেবে কুল পাচ্ছেন না মোহনবাগান সমর্থকরা।