স্টাফ রিপোর্টার: প্রথম ডার্বিতে নেমেই গোল! খুব কম প্লেয়ারেরই কপাল এমন চওড়া হয়। এবার সেই কীর্তি গড়লেন মোহনবাগানের অস্ট্রেলীয় তারকা জেমি ম্যাকলারেন। সেই ম্যাকলারেন, যিনি কলকাতায় পা রেখেই কাঁধের ব্যথায় কাবু হয়ে দীর্ঘদিন ভুগেছেন। একটা সময় সবুজ-মেরুন সমর্থকরা চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন তাঁকে নিয়ে। তবে আইএসএলের পাঁচ ম্যাচের মাথায় তাঁকে নিয়ে চিন্তা কেটে গিয়েছে। আর শনিবার ডার্বিতে গোল করে মোহনবাগান সমর্থকদের প্রত্যাশা যেন বাড়িয়ে দিলেন অনেকটাই।
আর একজনও যেন এদিন গোল করে কিছুটা স্বস্তি পেলেন। তিনি দিমিত্রি পেত্রাতোস। গত মরশুমে যে দিমিকে দেখে অভ্যস্ত ছিলেন মোহনবাগান সমর্থকরা, এ মরশুমে যেন কিছুটা ফিকে লাগছিল তাঁকে। শনিবাসরীয় ডার্বিতে গোল করার পর গোলের সেলিব্রেশনটা যেভাবে করলেন, তাতেই বোঝা গেল গোলের খোঁজে ছিলেন তিনি। দিমিত্রি যখন উৎসব করছিলেন, তখন কাছেই ইস্টবেঙ্গল রিজার্ভ বেঞ্চে হতাশ চোখে নন্দকুমাররা তাঁর সেলিব্রেশন দেখলেন। অথচ দিমিত্রিকে শুক্রবারই অনুশীলন শেষে পায়ে বরফ বেঁধে গাড়িতে উঠতে দেখা গিয়েছিল। ম্যাচ শেষে যখন স্টেডিয়াম ছাড়ছিলেন, তিনি তখন অবশ্য কথা বললেন না কোনও। শুধু উল্লাসে ভেসে যাওয়া সমর্থকদের উদ্দেশে হাত নেড়ে অভিবাদন জানিয়ে গেলেন।
গতবার টিভিতে দেখেছিলেন কলকাতা ডার্বি। এবার নিজেই সেই মহাযুদ্ধে নেমেছিলেন ম্যাকলারেন। তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ার পর বলে গেলেন, “অসাধারণ পরিবেশ।”একই সঙ্গে যোগ করলেন, “ডার্বিতে কোনও ট্যাকটিক্স কাজ করে না। আমাদের জয়ের খিদে অনেক বেশি ছিল। একই সঙ্গে আমাদের কো-অর্ডিনেশনও অনেক ভালো হয়েছে।” এদিন গ্রেগ স্টুয়ার্টের প্রশংসাও করলেন ম্যাকলারেন। দলের অধিনায়ক শুভাশিস বসু আবার জেমির প্রশংসা করে বলে গেলেন, “ওর কাছে স্মরণীয় ম্যাচ হয়ে থাকবে এই ম্যাচটা।”