স্টাফ রিপোর্টার: শনিবার সুপার কাপে অভিযান শুরু করবে ইস্টবেঙ্গল। তাদের প্রতিপক্ষ স্থানীয় ক্লাব ডেম্পো। একদা দেশের অন্যতম সেরা এই ক্লাব দীর্ঘদিন পর খেলবে ভারতীয় ফুটবলের সর্বোচ্চ স্তরে। মূলত স্থানীয় ফুটবলারদের নিয়ে সুপার কাপে নামছে ডেম্পো। সেখানে ছয় বিদেশি-সহ পূর্ণশক্তি নিয়েই নামছে ইস্টবেঙ্গল।
তবে প্রতিপক্ষ নয়, সুপার কাপে নামার আগে ইস্টবেঙ্গলের মাথাব্যথা অনুশীলনের মাঠ নিয়ে। পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে দু’দিন আগেই গোয়া গিয়েছে লাল-হলুদ। তবে সেখানে প্র্যাকটিসের জন্য ভালো মাঠ পাওয়া নিয়ে সমস্যায় পড়ছে টিম ম্যানেজমেন্ট। বৃহস্পতিবার ফেডারেশনের তরফে যে মাঠ দেওয়া হয়েছিল, তা বড় ঘাসে ভর্তি। অনুশীলনের জন্য সেই মাঠ পছন্দ হয়নি কোচ অস্কার ব্রুজোর। তাই নিজেরা অর্থ খরচ করে স্থানীয় পঞ্চায়েতের মাঠ ভাড়া করে অনুশীলন করে ইস্টবেঙ্গল। টিম সূত্র খবর, মাঠের মতো অনুশীলনে যাতায়াতের বাস বা জলের ব্যবস্থাও করা হয়নি সুপার কাপ আয়োজকদের তরফে। তাও করে নিতে হয়েছে ইস্টবেঙ্গলকে।
একদিন আগেই ফেডারেশনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার। সুপার কাপে লাল-হলুদের সঙ্গে বৈষম্য হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। গোয়ায় অনুশীলন মাঠের সমস্যা থেকে ইস্টবেঙ্গলের প্রথম দু’টো ম্যাচ বিকালে করা নিয়ে প্রশ্নও তোলেন। এদিন মাঠ ভাড়া করে অনুশীলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমাকে বলেছিল, মাঠ পাওয়া যায়নি। ফেডারেশনে ফোন করেছিলাম, ওরা ধরেনি। টিম বাস, জলের ব্যবস্থা নিজেদের করতে হয়েছে।” সুপার কাপের সূচি পরিবর্তন নিয়ে ফেডারেশনের তরফে কিছু জানানো হয়নি বলে দাবি করেছেন তিনি। এমনিতে ওই পঞ্চায়েতের মাঠে অনুশীলনের জায়গা ভালো হলেও সেখানে ড্রেসিংরুম সংক্রান্ত পরিকাঠামোর কিছু অভাব রয়েছে। তার মধ্যেই অনুশীলন করে ইস্টবেঙ্গল।
অন্যদিকে, সুপার কাপ খেলতে গোয়া পৌঁছাল মোহনবাগান। শনিবার প্রথম ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ চেন্নাইয়িন এফসি। যাতায়াতের ধকলের জন্য এদিন বিশেষ অনুশীলন করেনি দল। অন্যদিকে, অসমে একটি প্রতিযোগিতায় খেলতে গেল ইস্টবেঙ্গলের রিজার্ভ দল। সেখানে সরাসরি কোয়ার্টার ফাইনাল খেলবে লাল-হলুদ, প্রতিপক্ষ ওয়েল ইন্ডিয়া।
