স্টাফ রিপোর্টার: যে আশঙ্কা করেছিল মোহনবাগান, সেটাই সত্যি হয়ে গেল। মঙ্গলবার রাতে ইজরায়েলকে লক্ষ্য করে কয়েকশো ব্যালেস্টিক মিসাইল ছুঁড়ল ইরান। দেখতে গেলে, ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধই ঘোষণা হয়ে গেল একপ্রকার। এই পরিস্থিতিতে ইরানের অবস্থাও যে ভয়ঙ্কর হচ্ছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এমন পরিস্থিতিতে মোহনবাগানের ইরানে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক বলেই মনে করছে ফুটবলমহল।
সোমবারই সবুজ-মেরুনের ৩৫ জন ফুটবলার চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছিল তাঁরা ইরানে যেতে চান না। সেই চিঠি মোহনবাগান কর্তৃপক্ষ পাঠিয়ে দিয়েছিল এএফসির কাছে। সঙ্গে আবেদন করেছিল ম্যাচটি অন্য কোথাও আয়োজনের অথবা দিন পরিবর্তনের। মঙ্গলবার এএফসি জানিয়েছে, মোহনবাগানের এই বিষয়টি তারা সংশ্লিষ্ট কমিটির কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে। সেই কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে। মোহনবাগান ম্যানেজমেন্টের তরফ থেকে বারবার ফুটবলারদের নিরাপত্তার কথায় জোর দেওয়া হয়েছে। আবার সকালেই ম্যাচের চব্বিশ ঘন্টা আগে প্রাক্ ম্যাচ সাংবাদিক সম্মেলনও সেরেছে ট্রাক্টর এফসি। সেখানে দেখা গিয়েছে মোহনবাগানের নাম লেখা চেয়ার ফাঁকা।
যদিও ট্রাক্টর ম্যাচ নিয়ে আর ভাবতে চাইছে না মোহনবাগান শিবির। মঙ্গলবার থেকেই মহামেডান ম্যাচের প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন জোসে মোলিনা। মোহনবাগানের জন্য সুখবর, এদিন পুরো অনুশীলন করলেন আলবার্তো রডরিগেজ। যিনি চোট পেয়ে আগের ম্যাচে খেলতে পারেননি। তবে মোলিনার চিন্তা যাচ্ছেই না। শনিবার চেরনিশভের দলের বিরুদ্ধে সাহাল আবদুল সামাদ অনিশ্চিত। বেঙ্গালুরু ম্যাচে চোট পেয়েছিলেন তিনি। বেঙ্গালুরু ম্যাচে মাথায় চোট পাওয়া টম অলড্রেডও পুরো অনুশীলন করেননি এদিন। মহামেডানের বিরুদ্ধে নামার আগে রক্ষণের ভুলত্রুটি শুধরে নিতে চাইছেন মোলিনা।
শুধু রক্ষণই নয়, জেসন কামিংস, দিমিত্রি পেত্রাতোসদের পারফরম্যান্সেও খুশি নন মোলিনা। এ দিন অনুশীনের পর নুনো রেইসের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলতে দেখা যায় মোহনবাগান কোচ মোলিনাকে। বড় ম্যাচের আগে নতুন বিদেশি ডিফেন্ডারের সঙ্গে কথা বলা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকে।