প্রসূন বিশ্বাস: ময়দানে গড়াপেটার অভিযোগে পুলিশের জালে আরও এক। বুধবার সুজয় ভৌমিক নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে বৌবাজার থানার পুলিশ। গত রবিবার গ্রেপ্তার হওয়া খিদিরপুর ক্লাবের কর্তা আকাশ দাসের সঙ্গে সুজয়ের যথেষ্ট ঘনিষ্ঠতা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, গড়াপেটা কাণ্ডে এর আগেও দু'জনকে গ্রেপ্তার করেছিল কলকাতা পুলিশ।
গত রবিবার কলকাতার শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাব খিদিরপুরের কর্তা আকাশকে ডেকে পাঠানো হয়। দীর্ঘক্ষণ জেরা করে রবিবার সন্ধেয় ওই কর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, অর্থের বিনিময়ে কলকাতার একাধিক ফুটবল ম্যাচ গড়াপেটা করেছেন দুই অভিযুক্ত। এমনকি প্রযুক্তিরও অপব্যবহার করেছেন তাঁর। তাই ভারতীয় ন্যায় সংহিতা এবং আইটি অ্যাক্টের নানা ধারায় বেলঘরিয়া থানায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে দু’জনকে। ম্যাচ গড়াপেটা নিয়ে এখনও তদন্ত করছে পুলিশ। তদন্ত চলাকালীনই এবার নতুন করে আরও একজন গ্রেপ্তার হয়েছে বুধবার।
অন্যদিকে, তিন প্রধানের কর্তারাই কলকাতা পুলিশের এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। মোহনবাগান সচিব সৃঞ্জয় বোস বলেন, "আমার মনে হয় এই গ্রেপ্তারগুলো সঠিক পদক্ষেপ। যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, আমাদের কাছেও এমনটাই খবর ছিল। শেষপর্যন্ত পুলিশ উঠেপড়ে লেগেছে। আইএএফরও এটায় চোখ খোলা উচিত। আইএফএ এতদিন চুপ করে বসেছিল। আরও আগে পদক্ষেপ করলে বাংলার ফুটবলেরই ভালো হত।"
ইস্টবেঙ্গল শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, “এটার প্রথম কৃতিত্ব দেব আইএফএ-কে। তারপর কৃতিত্ব দেব ক্রীড়ামন্ত্রীর। উনি চেয়েছিলেন এটা সবার সামনে আসুক। পুলিশ কমিশনারকেও অজস্র ধন্যবাদ। সারা বিশ্বে যেভাবে এই নোংরা গড়াপেটার খেলা চলছে, ভারতবর্ষের মধ্যে প্রথম বাংলা দেখাল কীভাবে সেই গড়াপেটার বিরোধিতা করা যায়। আমি আশা রাখি এটারও সমাপ্তি ঘটবে।" আগামী দিনে ফিক্সিংয়ের অভিযোগে আরও অনেককেই গ্রেপ্তার করা হতে পারে বলে অনুমান।
