ইউক্রেন: ২ (সাপারেঙ্কো, ইয়ারেমচুক)
স্লোভাকিয়া: ১ (ইভান স্ক্রাঞ্জ)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চলতি ইউরোয় প্রথম জয়। তার পরই চোখে জল ইউক্রেনের প্লেয়ারদের। কোথাও গিয়ে যেন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের পরিস্থিতির সঙ্গে জড়িয়ে যায় এদিনের স্লোভাকিয়াকে হারানোর গল্প। পিছিয়ে পড়েও দুরন্ত কামব্যাক করেন জিনচেঙ্কোরা। ঠিক যেভাবে নিজের দেশকে আবার ফিরে পাওয়ার স্বপ্ন দেখছে ইউক্রেন (Ukraine Football)।
ইউরোর (Euro Cup 2024) গ্রুপ ই থেকে পরের রাউন্ডে যেতে হলে এদিন জিততেই হত সাপারেঙ্কোদের। আগের ম্যাচে রোমানিয়ার কাছে হেরে কাজ কঠিন হয়েছে তাঁদের। কিন্তু যাঁরা প্রতিদিন যুদ্ধের কামড়ে মরছেন, তাঁদের কাছে যে রুখে দাঁড়ানো ছাড়া কোনও উপায় নেই। স্লোভাকিয়ার বিরুদ্ধে সেই কাজটাই করলেন তাঁরা। এদিন ১৭ মিনিটের মাথায় ইভান স্ক্রাঞ্জের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল স্লোভাকিয়া।
[আরও পড়ুন: যোগ দিবসেই জাতীয় যোগ অলিম্পিয়াডে সোনা বাংলার, দলে দিনমজুরের ছেলে]
কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন ইউক্রেনের। ৫৪ মিনিটে বাঁ পায়ের ভলিতে সমতা ফেরান মিকোলা সাপারেঙ্কো। যাঁর শহর সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে রাশিয়ার অস্ত্রে। যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ১০০০ কিমি দূরে তাঁর বাসস্থান। দিনকয়েক আগে ডায়নামো কিয়েভের এই ফুটবলার বলেছিলেন নিজেদের অসহায় অবস্থার কথা।
কিন্তু তখনও তো কাজ বাকি। ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন তাঁরা। ৮০ মিনিটে গোলকিপারকে বোকা বানিয়ে গোল করেন ইয়ারেমচুক। যুদ্ধের পর বেনফিকার হয়ে খেলার সময় চোখে জল নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন তিনি। একসময়ে ঘুমোতে পারতেন না। সারাক্ষণ ফোনে নজর রাখতেন। এই বুঝি ফের আক্রমণ হল কিয়েভের বাড়িতে। নিজের জার্সি নিলামে তুলেছিলেন। খাবার আর চিকিৎসার সামগ্রীও পাঠিয়েছিলেন। আজ তাঁর পায়েই ইউরোয় জয় তুলে নিল ইউক্রেন। সেই সঙ্গে জাগিয়ে তুলল শেষ ষোলোয় যাওয়ার আশা।