সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলার অনুমোদনহীন মাদ্রাসাগুলির পড়ুয়াদের সরকারি পরিষেবা দিতে উদ্যোগী রাজ্য় সরকার। বাংলায় বহু মাদ্রাসা রয়েছে যাদের সরকারি অনুমোদন নেই। এবার সেই মাদ্রাসাগুলিকে সরকারি খাতায় নথিভুক্ত করতে তৎপর রাজ্য সরকার। তবে অবশ্যই যারা ইচ্ছুক তাদের নামই নথিভুক্ত করা হবে বলে বুধবার স্পষ্ট করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন মাদ্রাসার নাম নথিভুক্তিকরণের বিষয়টি। কিন্তু তা নিয়ে ধোঁয়াশা ছড়িয়েছিল। এদিন সাংবাদিক সম্মেলন থেকে সেই বিষয়টি স্পষ্ট করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়েছেন, অনুমোদনহীন মাদ্রাসাগুলিকে অধিগ্রহণ করছে না রাজ্য। সরকারি খাতায় মাদ্রাসার নাম নথিভুক্তিকরণের বিষয়টি সম্পূর্ণ ঐচ্ছিক। এক্ষেত্রে কোনও জোর করা হবে না।
[আরও পড়ুন: ফ্ল্যাট দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন নুসরত জাহান]
‘খাদিজা’ মাদ্রাসাগুলির নথিভুক্তিকরণ হলে সেখানকার পড়ুয়ারা সরকারি পরিষেবা পাবে। সরকারি বা সরকার অনুমোদিত স্কুলগুলির পড়ুয়ারা কন্যাশ্রী, সবুজ সাথীর মতো একাধিক প্রকল্পের সুবিধা পায়। কিন্তু অনুমোদনহীন মাদ্রাসাগুলি সেই সুবিধা পায় ন। তাই সেখানকার পড়ুয়াদের এই সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার জন্যই রাজ্য এই উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, “এইসব মাদ্রাসায় যারা পড়াশোনা করে তারা সরকারের অনেক সুযোগ সুবিধা পায় না। এটার জন্যই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এর জন্য আমরা একটা কমিটি তৈরি করছি।” তিনি জানিয়েছেন, সরকারি আধিকারিক-সহ শিক্ষাবিদ থেকে শুরু করে সমাজের বিশিষ্টজনরা থাকবেন এই কমিটিতে। মাদ্রাসার সঙ্গে জড়িতরাও থাকবেন।
সূত্রের দাবি, দেশের সমস্ত মাদ্রাসাকে এক ছাতার তলায় আনতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। সে কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যে অসম ও উত্তরপ্রদেশের সমস্ত মাদ্রাসার নাম সরকারি খাতায় নথিভুক্ত করা হয়েছে। তবে দু রাজ্যের কোথাও বিষয়টি ঐচ্ছিক ছিল না। এবার সমস্ত মাদ্রাসাকে সরকারি পরিষেবার আওতায় আনতে সচেষ্ট হল রাজ্য সরকার। তবে এক্ষেত্রে বিষয়টি সম্পূর্ণ ঐচ্ছিক।