সুকুমার সরকার, ঢাকা: চাল-ডাল-গম-পেঁয়াজের পর এবার নারকেল। বাংলাদেশের চাহিদা পূরণ করার জন্য ৫০ মেট্রিক টন নারকেল গেল ভারত থেকে। এর আগে পড়শি দেশ থেকে নারকেল তেলও আমদানি করেছিল ঢাকা। বৃহস্পতিবার নারকেল নিয়ে ভারতীয় দুটি ট্রাক বাংলাদেশের উত্তর জনপদ জেলা দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে প্রবেশ করেছে। তামিলনাড়ুর এনায়েতপুর এলাকার আনান্দান অ্যান্ড কোম্পানি নামে একটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান এসব নারকেল রপ্তানি করেছে। ভারত থেকে প্রতি মেট্রিক টন নারকেল আমদানিতে খরচ পড়েছে ২৫০ ডলার।
এনিয়ে হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক নাশাত ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী নুর ইসলাম জানান, বাংলাদেশে নারকেলের চাহিদা থাকায় ভারতের তামিলনাড়ু থেকে দুই ট্রাকে ৫০ মেট্রিক টন নারকেল আমদানি করা হয়েছে। আরও ছয় ট্রাক নারকেল আসা বাকি রয়েছে। বন্দরের কার্যক্রম শেষ করে এসব দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হবে বলে জানান, হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী সঙ্গনিরোধ আধিকারিক ইউসুফ আলি।
[আরও পড়ুন: ‘দাম বাড়াচ্ছে মজুতদারই, গণধোলাই দিন’, দাওয়াই হাসিনার]
এদিকে বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে ভারত। দেশটির রপ্তানিকারকরা আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই পেঁয়াজ বাংলাদেশে পাঠাতে পারবেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ভারতের ভোক্তাবিষয়ক দপ্তরের সচিব রোহিত কুমার সিং নয়াদিল্লিতে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন। বাংলাদেশ ছাড়াও মরিশাসে ১ হাজার ২০০ টন, বাহরাইনে তিন হাজার এবং ভুটানে ৫৬০ টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
রোহিত কুমার সিং বলেন, বিদেশ মন্ত্রকের সুপারিশের ভিত্তিতে বাংলাদেশ এবং অন্য তিনটি দেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ৩১ মার্চ পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের এই পরিমাণ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ওই সময় পর্যন্ত ভারতে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। অভ্যন্তরীণ সরবরাহ বাড়াতে এবং মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে গত ৮ ডিসেম্বর এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করায় বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম ২০০ টাকা ছাড়িয়ে যায়।