সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জন্মলগ্নে পাকিস্তানে হিন্দু ছিল ২৩ শতাংশ। যত সময় গড়িয়েছে তা তো বাড়েইনি। উল্টে কমেছে মারাত্মক হারে। ২০১৭-তে এসে দেখা যাচ্ছে, তা দাঁড়িয়েছে মোটে ৬ শতাংশে। জোর করে ধর্মান্তকরণের জেরেই দলে দলে পাকিস্তান ছাড়ছেন সংখ্যালঘু হিন্দুরা।
[ বৃত্ত পূর্ণ করে ‘এয়ার ইন্ডিয়া’ ফিরে যেতে পারে টাটাদের হাতেই ]
ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ হলেও প্রথম প্রতিশ্রুতি অবশ্য অন্যরকমই ছিল। বলা হয়েছিল, পাকিস্তানে সব ধর্মের মানুষই তাঁদের ধর্মাচরণের সমান অধিকার পাবেন। অক্ষুণ্ণ থাকবে হিন্দুদের মৌলিক অধিকার। সসম্মানেই সে দেশে থাকতে পারবেন তাঁরা। কিন্তু বাস্তব বলছে সে প্রতিশ্রুতি তো পরে রাখা হয়ইনি, উলটে তা উড়িয়েই দেওয়া হয়েছে প্রতি পদে পদে। বেড়েছে জোর করে ধর্মান্তকরণের ঘটনা। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়েছে যে গত কয়েক দশকে পাকিস্তান ছাড়ারই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুরা।
[ বিরোধীদের মনোনীত রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হচ্ছেন মীরা কুমার ]
ধর্মের চাপ তো আছেই। তার উপর আছে অত্যাচার ও নির্যাতন। পাকিস্তান ছাড়তে বাধ্য করার জন্য সংখ্যালঘু হিন্দু মহিলাদের উপর চলেছে ধর্ষণ, শ্লীলতাহানির মতো ঘটনা। হয় অন্য ধর্ম গ্রহণ, নয় এই নির্যাতনের মুখোমুখি দাঁড়াতে হচ্ছে হিন্দুদের। এমনকী ব্যবসায়ীদের অপহরণ করে বসবাস ওঠানোও আকছারই ঘটছে পাক মুলুকে। হিন্দুদের ধর্মাচরণ বা গরুকে পুজো করা নিয়ে চলে ঠাট্টা-তামাশা। তাতে হিন্দুদের ধর্মীয় বোধেই আঘাত লাগে। যদিও তা নিয়ে বিন্দুমাত্র হেলদোল নেই সংখ্যাগুরু মুসলমানের। ফলত হিন্দুরা দেশ ছাড়ারই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এবং তা এমন মাত্রায় পৌঁছেছে যে পাকিস্তানে হিন্দুদের সংখ্যা কমেছে মারাত্মকভাবে। আগে দেশের প্রায় সব জায়গাতেই হিন্দুদের দেখা মিলত। কিন্তু এখন সিন্ধ প্রদেশ ও গুটিকয় জায়গা ছাড়া সে দেশে হিন্দুদের দেখা মেলাই ভার।
[ রামনাথ কোবিন্দ রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী, প্রথম কে আঁচ করেছিলেন জানেন? ]
পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, সিন্ধ প্রদেশে প্রতি বছর প্রায় ১০০০ মহিলাকে জোর করে ইসলাম গ্রহণ করানো হয়। প্রতি মাসে প্রায় ২০ জন মহিলা বিশেষত তরুণীরা এর শিকার হন। প্রশাসনের তরফ থেকেও এ ব্যাপারে কোনও সাহায্য করা হয় না। তার উপর আছে শরিয়তি আইনের নামে অত্যাচার ও নির্যাতন। এর জেরে প্রতি বছর প্রায় ৫০০০ জন হিন্দু পাকিস্তান ছেড়ে ভারতেই আশ্রয় নিচ্ছেন।
The post ধর্ম পালটাতে বাধ্য করায় পাকিস্তান ছাড়ছেন হিন্দুরা appeared first on Sangbad Pratidin.