সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে (Bangladesh) নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই ভারত সফরে আসছেন সেদেশের বিদেশ সচিব মাসুদ বিন মোমেন। দিল্লিতে বৈঠক করবেন ভারতের বিদেশ সচিব বিনয়মোহন কোয়াত্রার সঙ্গে। বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রেখেছে বিভিন্ন দেশ। কয়েকদিন আগেই এই নির্বাচন নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে ভারত। সে বিষয়ে ভারতের মনোভাব আরও স্পষ্টভাবে জানা বিদেশ সচিবের সফরের অন্যতম উদ্দেশ্য বলে জানা গিয়েছে।
শুক্রবার এই ভারত সফর নিয়ে মাসুদ বিন মোমেন জানিয়েছেন, দিল্লিতে (Delhi) যাওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। তবে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশে নির্বাচনের আগে এটাই দু দেশের বিদেশ সচিবদের মধ্যে শেষ বৈঠক হতে পারে। সেই কারণে বৈঠকে তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি, বিদ্যুৎ, জ্বালানি, বাণিজ্য, নিরাপত্তা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, প্রতিরক্ষা-সহ নানা বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। আগামী ২৩ নভেম্বর ভারতে পা রাখার কথা মোমেনের। ২৪ নভেম্বর বৈঠক হবে দুই মন্ত্রীর মধ্যে।
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা, ‘ভোট হতে দেব না’, হুঁশিয়ারি বিএনপির]
বলে রাখা ভালো, আসন্ন নির্বাচন ঘিরে এই মুহূর্তে উত্তাল হয়ে রয়েছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Seikh Hasina) সরকার ভেঙে দেওয়ার দাবিতে গত এক মাস ধরে বিএনপি ও তাদের ইসলামপন্থী সমমনা দলগুলো বনধ-অবরোধ জারি রেখেছে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটের দাবিতে হাসিনার সরকারের উপর চাপ বাড়িয়েছে আমেরিকা-সহ পশ্চিমের দেশগুলো। বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে বলে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসংঘও (UN)। এই আবহে নির্বাচন নিয়ে ‘বন্ধু’ দেশের পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত। ফলে নির্বাচনের আগে দুই দেশের এই বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল। দুই দেশের এই বৈঠকে নজর রাখবে পশ্চিমের দেশগুলোও।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, “ভারত বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সম্মান করে এবং সেদেশের জনগণই তাদের ভবিষ্যতের সিদ্ধান্ত নেবেন। আমরা অন্য কোনও দেশের নীতি নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না।” বাগচি আরও বলেন, “ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সহযোগী হিসাবে, আমরা তাদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সম্মান করি এবং স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ এবং প্রগতিশীল জাতি গঠনে ঢাকার লক্ষ্যে আমাদের সমর্থন অব্যাহত থাকবে।” এই বক্তব্যের মাধ্যমে হাসিনা সরকারের ‘পাশে দাঁড়িয়ে’কৌশলী বার্তা দেয় দিল্লি।