গোবিন্দ রায়: ক্ষতিগ্রস্ত মালপত্র গছিয়ে দিয়ে দেশ ছেড়ে বিদেশে পালাচ্ছে বাণিজ্যিক জাহাজ! কলকাতার এক সংস্থার তরফে এই অভিযোগ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে নড়েচড়ে বসল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta HC)। রাতের বেলাতেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুনানি শুরু হল উচ্চ আদালতে। একেবারে শেষ মুহূর্তে আদালত সাফ জানিয়ে দিল, আপাতত কলকাতা ছেড়ে যেতে পারবে না ওই বিদেশি জাহাজটি। হলদিয়া বন্দরেই আটক থাকবে বিদেশি জাহাজ।
ঠিক কী অভিযোগ ওই বিদেশি জাহাজের বিরুদ্ধে? জানা গিয়েছে, কলকাতার একটি সংস্থার কাছে বিশাল পরিমাণ নিউজ প্রিন্ট পেপার পাল্পস বিক্রি করা হয়েছিল ওই জাহাজের মাধ্যমে। কিন্তু সেই পণ্যের মধ্যে প্রায় এক মেট্রিক টনই ক্ষতিগ্রস্ত। ওই পণ্যের দাম ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় সাড়ে সাত কোটি টাকা। ক্ষতিগ্রস্ত পণ্য 'গছিয়ে' দেওয়ার পরে সোমবার ভোরেই হলদিয়া থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল জাহাজটির।
[আরও পড়ুন: ‘অশান্ত বাংলাদেশে যাবেন না’, ভারতীয়দের কড়া নির্দেশ বিদেশমন্ত্রকের]
কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত পণ্য পেয়েই আদালতের দ্বারস্থ হয় কলকাতার সংস্থাটি। উচ্চ আদালতের কাছে আর্জি জানানো হয়, আইন অনুযায়ী পণ্যের ক্ষতির দায় বহনকারী জাহাজেরই। ওই জাহাজকে না আটকালে বিরাট আর্থিক ক্ষতি হবে কলকাতার সংস্থাটির। যেহেতু সোমবারেই কলকাতা ছেড়ে জাহাজটি বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল, তাই রবিবার ছুটির দিন সত্ত্বেও যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় শুনানি। বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে রবিবার রাতে শুনানি চলে।
শুনানি শেষে বিচারপতি জানিয়ে দেন, রাতেই জাহাজটিকে অ্যারেস্ট করতে হবে। সোমবার ভোরে হলদিয়া ডক থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ থাকলেও এখনই জাহাজ বেরতে পারবে না। আগামী ১২ আগস্ট মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। তবে কলকাতা হাই কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, যদি ১২ আগস্টের মধ্যে উচ্চ আদালতের রেজিস্টার জেনারেলের কাছে ৭ কোটি টাকা জমা রাখা হয় তাহলে হলদিয়া ডক ছাড়ার অনুমতি মিলবে। কিন্তু তা না হলে হলদিয়াতেই বন্দি থাকবে বিদেশি জাহাজ।