বাবুল হক, মালদহ: সুজাপুরে প্লাস্টিক কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের প্রায় দেড়দিন পর শুক্রবার গভীর রাতে সেখানে পৌঁছয় ফরেনসিক দল (Forensic team)। রাতেই শুরু হয় নমুনা সংগ্রহের কাজ। আর তা করতে গিয়ে ধন্দে পড়েছেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। বিস্ফোরণস্থল দেখে তাঁদের প্রাথমিক ধারণা, এ নিতান্তই প্লাস্টিক কাটার মেশিন থেকে বিস্ফোরণ (Blast) নয়। ঠিক কী ধরনের বিস্ফোরণ, তা বোঝার চেষ্টায় রয়েছেন তাঁরা। সূত্রের খবর, আরও বিশদে সবটা বোঝার জন্য শনিবার বেলার দিকে ফের সুজাপুরের বিস্ফোরণস্থলে যাবেন তাঁরা। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবে এসটিএফও।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা নাগাদ মালদহের (Maldah) সুজাপুরে ৩৪ নং জাতীয় সড়কের পাশে একটি প্লাস্টিক কারখানা আচমকাই ভয়ংকর বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে। বিস্ফোরণের তীব্রতায় উড়ে গিয়েছে কারখানার ছাদের চাল। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়েছে ৪ শ্রমিকের। পরে আরও ২ জনের মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হতেও বেশি সময় লাগেনি।
[আরও পড়ুন: ভোটের আগে জঙ্গলমহল ছাড়ল ১৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, রাজনৈতিক অভিসন্ধি দেখছে শাসকদল]
বিজেপির অভিযোগ, ওখানে প্লাস্টিক কারখানার আড়ালে চলছিল বোমা তৈরির কাজ। তা সঙ্গে সঙ্গে খারিজ করে দিয়েছে স্বরাষ্ট্রদপ্তর। উলটে এ বিষয়ে বিস্তারিত তদন্তের কথা বলা হয়েছে। ওইদিনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতদের পরিবারের হাতে আর্থিক সাহায্যের চেক তুলে দেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
শুক্রবার সেখানে যেতে গিয়ে স্থানীয়দের বাধার মুখে পড়ে বিজেপি প্রতিনিধিদল। ফলে রাজনৈতিক উত্তাপ আরও বাড়তে থাকে। এদিন তদন্তের স্বার্থে ফরেনসিক দলের সফরকে সামনে রেখে এলাকা দ্বিস্তরীয় বলয়ে ঘিরে ফেলা হয়। তবে দিনভর অপেক্ষা করলেও, ফরেনসিক দল সুজাপুরে পৌঁছয়নি। রাতের দিকে সেখানে পৌঁছন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। যথাযথ সুরক্ষা নিয়ে ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখা হয়।
[আরও পড়ুন: রাজ্যে ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনার গ্রাফ, ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসের বলি ৫০জন]
সূত্রের খবর, সেখানেই বেশ কিছু ধন্দ তৈরি হয়েছে তাঁদের। প্রথমত বিস্ফোরণের পর কোনও বারুদের গন্ধ না পাওয়ায় তার ধরন নিয়ে একটা সংশয় ছিলই। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা বিস্ফোরণস্থলের পরিস্থিতি দেখে প্রায় নিশ্চিত যে এটা সাধারণ মেশিন বিস্ফোরণ নয়। এছাড়া গুরুতর আহতরা শারীরিক পরিস্থিতিও এই মুহূর্তে যেমন, তাতেও রয়েছে ধন্দ। সবমিলিয়ে, সুজাপুরের বিস্ফোরণ নিয়ে উঠছে বেশ কিছু প্রশ্ন।