টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: দুই হনুমানের ঝগড়ার মাঝে পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক যুবকের। বাঁকুড়ার (Bankura)গঙ্গাজলঘাঁটির কানাইলাল কুণ্ডুকে ‘খুনে’র মতো গুরুতর অপরাধ। আর তার জন্য জেলবন্দি হনুমান। থুড়ি আপাতত খাঁচাবন্দি করে রাখা হয়েছে তাকে। হনুমানটির (Monkey) শারীরিক পরীক্ষানিরীক্ষা করছেন বনদপ্তরের কর্মীরা। তবে কবে বা কখন বন্দি হনুমানকে মুক্তি দেওয়া হবে, তা এখনও স্পষ্ট করেনি বনদপ্তর।
ঘটনা বৃহস্পতিবারের। বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি ব্লকের লালপুর গ্রামে গত কয়েকদিন ধরেই উপদ্রব করছিল একটি হনুমান। অভিযোগ, বাসিন্দাদের বাড়ির ভিতর ঢুকে পড়ছিল সে। বাড়িতে ভাঙচুর করা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছিল। বাড়ির মালিকরা তাড়াতে গেলে পালটা দাঁত খিঁচিয়ে তাড়া করছিল সেও। এমনকী, হনুমানটির আক্রমণে জখম হচ্ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার সকালে গ্রামে হানা দিয়েছিল মূর্তিমান বিভীষিকা। তার সঙ্গে যুদ্ধ চলছিল আরেক হনুমানের। এমন সময় তাদের তাড়াতে গেলে কানাইলাল কুণ্ডু নামে এক যুবকের উপর চড়াও হয় একটি হনুমান। তাকে চড়-থাপ্পর, কিল-ঘুষি মারতে শুরু করে হনুমানটি। গুরুতর জখম হন কানাইলাল। স্থানীয় বাসিন্দারা সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে অমরকানন ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
[আরও পড়ুন: বন্ধ মা উড়ালপুলে বাইক দুর্ঘটনা, গার্ডওয়ালে ধাক্কা খেয়ে ছিটকে পড়ে মৃত্যু চালকের]
এই মৃত্যু ঘিরে বেশ শোরগোল পড়ে যায় চারপাশে। এর ঘটনার পর ওই খুনি হনুমানকে খাঁচাবন্দি করতে সচেষ্ট হয় বনদপ্তর (Forest Department)। বহু চেষ্টার পর অবশেষে ঘুমপাড়ানি গুলি করে খাঁচাবন্দি অবস্থায় ‘খুনি’ হনুমানটিকে নিজেদের হেফাজতে আনতে সমর্থ হন বনকর্মীরা। আপাতত খাঁচাবন্দি অবস্থাতেই বন্দি রয়েছে ওই হনুমান।