সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাবুল দখল করেই নিজমূর্তি ধারণ করল তালিবান (Taliban)। এবার আফগানিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই ও হাই কাউন্সিল ফর ন্যাশনাল রেকন্সিলিয়েশন’-এর প্রধান আবদুল্লা আবদুল্লাকে গৃহবন্দি করল জেহাদি সংগঠনটি।
[আরও পড়ুন: Taliban Terror: তালিবান ফিরতেই অস্ত্র কেনার হিড়িক পড়শি দেশগুলিতে, মারণাস্ত্রের পসরা সাজিয়ে রাশিয়া]
রাশিয়ার সংবাদ মাধ্যম স্পুটনিক সূত্রে খবর, বুধবার আবদুল্লার বাড়িতে তল্লাশি চলে তালিবান জঙ্গিরা। তারপরই বৃহস্পতিবার আবদুল্লা ও কারজাইয়ের নিরাপত্তারক্ষীদের সরিয়ে দেয় তালিবান। কেড়ে নেওয়া হয় তাঁদের গাড়িও। শুধু তাই নয়, কাবুলে দুই নেতাকে গৃহবন্দি করা হয়েছে। বলে রাখা ভাল, আগস্টের ১৫ তারিখ রাজধানী কাবুল দখল করার পর সকলকে সঙ্গে নিয়ে সরকার গঠনের আশ্বাস দিয়েছিল তালিবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ। তবে তালিবানের কথায় ও কাজে যে বিস্তর ফারাক তা স্পষ্ট। বিশেষ করে আশরফ ঘানির পাশে না দাঁড়িয়ে আগেও তালিবানের পক্ষে সওয়াল করেছেন কারজাই ও আবদুল্লা। তাই তাঁদের গ্রেপ্তারিতে অবাক অনেকেই।
সম্প্রতি তালিবান জানিয়েছে যে আফগানিস্তানের (Afghanistan) শাসনভার থাকবে ১২ সদস্যের একটি কাউন্সিল বা পরিষদের হাতে। মূলত তালিবানের শীর্ষ ধর্মীয় নেতাদের নিয়ে গঠিত হতে চলেছে সেই পরিষদ। সেই কাউন্সিলে জায়গা পাবেন হামিদ কারজাই ও আবদুল্লা আবদুল্লা। কাউন্সিলে থাকছে শীর্ষ তালিবান নেতা মোল্লা আবদুল ঘানি বরাদরও। কিন্তু এদিন তাঁদের গ্রেপ্তারিতে সমস্ত সমীকরণ উলটপালট হয়ে গিয়েছে।
উল্লেখ্য, সদ্য আফগানিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘানি ও স্বঘোষিত ‘কার্যনির্বাহী প্রেসিডেন্ট’ আমরুল্লা সালেহকে ক্ষমা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে তালিবান। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ‘Geo News’-কে সাক্ষাৎকার দিয়েছে কাবুলের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা প্রবীণ তালিবান নেতা খলিলুর রহমান হাক্কানি। সেখানে প্রশ্নের উত্তরে সে বলে, “প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘানি, প্রাক্তন ভাইস-প্রেসিডেন্ট আমরুল্লা সালেহ ও প্রাক্তন নিরাপত্তা উপদেষ্টা হামদুল্লা মোহিবকে আমরা ক্ষমা করেছি। প্রতিপক্ষের সেনাধিনায়ক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ যারা তালিবানের বিরোধিতা করেছে সবাইকে আমরা মাফ করে দিয়েছি। তারা দেশে ফিরতে পারে।” তবে তালিবানের আশ্বাসে মোটেও চিড়ে ভিজছে না। কারণ, তাঁকে হত্যা করবে তালিবান বলে আগেই দাবি করেছিলেন আশরফ ঘানি। আর পঞ্জশির থেকে তালিবানের বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছেন আমরুল্লা সালেহ।