অর্ণব আইচ: বহাল তবিয়তেই আছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) সারমেয়র দল। ডায়মন্ড সিটি সাউথ আবাসনের ১৯ তলার জোড়া ফ্ল্যাটের জানালা থেকে কলকাতা দেখছে তারা। ডায়েট মতো চলছে খাওয়াদাওয়া। নিচে নেমে হাঁটাহাঁটিও করে নিচ্ছে পার্থবাবু ও অর্পিতার সারমেয়রা। পশুপ্রেমীদের কাছে এমনই দাবি এই বহুতল আবাসনের নিরাপত্তারক্ষী ও কর্মীদের। তাঁরা এই বিষয়ে রীতিমতো আশ্বাস দিয়েছেন কুকুরপ্রেমীদের। এদিকে ,ওই পোষ্যগুলির দেখভালের জন্য ইডির কাছে আবেদন জানিয়েছে একটি পশুপ্রেমী সংগঠন। মামলার সঙ্গে সরাসরি কোনও যোগসূত্র না থাকলেও পার্থ-অর্পিতার পোষ্যরা কেমন রয়েছে, সেই সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে পারে ইডি।
দক্ষিণ কলকাতার বহুতল আবাসনটির দোতলায় অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে টাকা, সোনা, নথি উদ্ধার করলেও ১৯ তলার ফ্ল্যাটটিতে যাননি ইডি আধিকারিকরা। যদিও তাঁদের কাছে খবর ছিল যে, উপরের ওই ১৬০০ স্কোয়ার ফুট ফ্ল্যাটটিতে রয়েছে ন’টি বিভিন্ন প্রজাতির সারমেয়। এর মধ্যেই বিভিন্ন মহল সূত্রে পশুপ্রেমীদের কাছে খবর আসে যে, অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাটে তল্লাশি শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সারমেয়গুলিকে ছেড়ে দিয়ে উধাও হয়ে গিয়েছেন কেয়ারটেকার। ফলে অত্যন্ত কষ্টে রয়েছে পোষ্যগুলি। তাদের ভাল করে খাওয়া বা জল, কোনওটাই জুটছে না।
[আরও পড়ুন: ‘প্রায় রাতেই স্যরের বাড়ি পৌঁছে দিতাম ম্যাডামকে’, পার্থ-অর্পিতার সম্পর্ক নিয়ে বিস্ফোরক চালক]
সূত্রের খবর অনুযায়ী, বহুতলের ফ্ল্যাটের বাসিন্দা সারমেয়কুলের মূল দেখভালের দায়িত্ব অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের থাকলেও সেগুলি আসলে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পোষ্য। এগুলির দাম অন্ততপক্ষে ৪ লক্ষ টাকা। কুকুরগুলির মধ্যে রয়েছে একটি রটউইলার, একটি করে ইংলিশ ও ফ্রেঞ্চ বুলডগ। সঙ্গে একটি বিগল, একটি পাগ, দু’টি করে গোল্ডেন রিট্রিভার ও ল্যাব্রাডর। তাদের ‘দুরবস্থা’র খবর শুনে শনিবার আবাসনটিতে আসেন একাধিক পশুপ্রেমী। তাঁরা ওই সারমেয়গুলির দেখাশোনার ভার নিতে চান। দেখা করতে চান আবাসন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। অবশ্য পশুপ্রেমীদের বক্তব্য, আবাসনের মেল আইডিতে পাঠাতে বলা হয়।
যদিও আবাসনের নিরাপত্তারক্ষী ও দেখভালের দায়িত্বে থাকা কয়েকজন, পশুপ্রেমীদের কাছে দাবি করেছেন যে, ১৯ তলার ওই ফ্ল্যাটের ন’টি সারমেয় বহাল তবিয়তে, নিজেদের মতোই রয়েছে। তারা আবাসনের কাউকেই বিরক্ত করছে না। তাদের সারাক্ষণ দেখভালের জন্য দু’জন কেয়ারটেকার বা হ্যান্ডলার থাকেন। সেই দু’জনেই রয়েছেন। কেউ পালিয়ে যাননি। ওই ফ্ল্যাটের দিকেই হানা দেননি ইডি আধিকারিকরা। দু’দিন অন্তর পোষ্যগুলির কাছে আসেন এক প্রশিক্ষক। তিনি পালা করে তাদের নিয়ে হাঁটতে বেরন। ওই সময় কখনও হ্যান্ডলারও থাকেন। আবাসন চত্বরে বিশেষ জায়গায় হাঁটাহাঁটি করে সারমেয়গুলি। তাদের দেখে এগিয়ে আসেন অনেক বাসিন্দাও। পশুপ্রেমীদের কাছে আবাসনের ওই কর্মীরা দাবি করেছেন, ইডি’র তল্লাশির পরও প্রশিক্ষক সারমেয়দের নিয়ে হাঁটতে বেরিয়েছেন।