কৃষ্ণকুমার দাস: রাজ্যে ক্রমশই চওড়া হচ্ছে করোনার (Coronavirus) থাবা। দৈনিক মৃতের সংখ্যার ক্ষেত্রেও প্রতিদিনই তৈরি হচ্ছে নয়া রেকর্ড। এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক মহলে নামল ফের শোকের ছায়া। কোভিড আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত নদিয়ার শান্তিপুরের প্রাক্তন বিধায়ক অজয় দে। দীর্ঘদিন ধরে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি ছিলেন তিনি। শুক্রবার সকালেই প্রাণহানি হয় তাঁর। এদিকে, যোধপুর পার্কের কাছে একটি হাসপাতালে প্রাণহানি হয়েছে আরেক চিকিৎসকের। সুধীন্দ্রমোহন ভট্টাচার্যের মৃত্যুতে চিকিৎসক মহলেও নেমেছে শোকের ছায়া।
সপ্তাহদুয়েক আগে নানা উপসর্গ দেখা দেয়। তাঁকে শান্তিপুর হাসপাতালে ভরতি করা হয়। সেখানেই কোভিড (Covid 19) টেস্ট করানো হয় তাঁর। রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তারপর থেকে হোম আইসোলেশনেই ছিলেন তিনি। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে। তবে সেখানেও চিকিৎসায় বিশেষ সাড়া দেননি তিনি। তাই কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে। শেষ পর্যন্ত ভেন্টিলেশনে রাখতে হয় অজয় দেকে। তবে শুক্রবার সকালে সব শেষ। ইহলোকের মায়া কাটিয়ে অমৃতলোকের পথে পাড়ি দেন তিনি।
[আরও পড়ুন: বড়সড় আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ, এবার অর্জুন সিং ও তাঁর ভাইপোকে তলব সিআইডির]
কংগ্রেসের টিকিটে জিতে শান্তিপুর বিধানসভার দীর্ঘদিনের বিধায়ক ছিলেন অজয় দে (Ajay Dey)। মাঝে ঘাসফুল শিবিরেও যোগ দেন তিনি। বিধানসভার পুনর্নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে জয়লাভ করেন তিনি। তবে ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে প্রথমবার হার মানেন অজয় দে। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন তিনি। এরপর গত বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে নির্বাচিত হন অজয় দে। বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকারের কাছে ১৫ হাজার ভোটে পরাজিত হন তিনি। অজয়বাবুর মৃত্যুতে রাজনৈতিক মহলে নেমেছে শোকের ছায়া।