সুমন করাতি, হুগলি: লোকসভা ভোটে হারের পর আরও বিপদ বাড়ল লকেট চট্টোপাধ্য়ায়ের। পুলিশের নাকা চেকিংয়ে বাধা দেওয়ার অভিযোগে হুগলির প্রাক্তন সাংসদকে নোটিস পাঠাল পোলবা থানার পুলিশ। চলতি মাসের ১ তারিখে হুগলি গ্রামীণ পুলিশ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে আইনি নোটিস পাঠিয়েছে। সঙ্গে এক সপ্তাহের মধ্যে পোলবা থানায় হাজিরা দিয়ে উপযুক্ত কারণ দর্শানোর কথা বলা হয় তাঁকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার নোটিসের সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও লকেট চট্টোপাধ্যায় পোলবা থানায় আসেননি। এ বিষয়ে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। জবাব দেননি এসএমএসেরও।
হুগলি গ্রামীণ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোট পর্ব চলাকালীন ৪ মে বিকেলে পোলবার (Polba) কোড়লা মোড়ে পুলিশের একটি দল ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে নাকা পয়েন্টে চেকিংয়ের কাজ করছিল। ওই সময় একটি চারচাকা গাড়ি আটক করে পুলিশ। গাড়িতে চালক-সহ তিন জন ছিলেন। গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে শতাধিক বিদেশি মদের প্যাকেট বাজেয়াপ্ত করে তারা। পুলিশের কাছে ধৃতরা স্বীকারও করেন, বিহারে আত্মীয়ের বিয়ে বাড়িতে তাঁরা মদ নিয়ে যাচ্ছিলেন। পুলিশ বেআইনি মদ বাজেয়াপ্ত করে গাড়িতে তুলে নেয়।
[আরও পড়ুন: নাতির হাতে ‘খুন’ মহিলা তৃণমূল কর্মী, সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জের?]
সেই সময় বলাগড়ে (Balagarh) যাওয়ার পথে কোড়লা মোড়ে জটলা দেখে নেমে পড়েন বিজেপির বিদায়ী সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee)। পুলিশের সামনেই গাড়িতে রাখা ব্যাগ খোলেন লকেট। গাড়ি চালককে ধমক দিয়ে লকেট জানতে চান কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বেআইনি মদ। পুলিশকে দেওয়া তথ্যই লকেটকে জানান গাড়ি চালক। সন্তুষ্ট হননি লকেট। এর পর লকেট অভিযোগ করেন পুলিশ নাকা চেকিং করছে না। তাই অন্যত্র তৃণমূলের মদতে মদ পাচার হচ্ছিল। তৃণমূল এই মদ বিলি করে ভোট করবে বলে লকেট অভিযোগ করেন। শুধু তাই নয় নিজের এক্স হ্যান্ডেলে টুইট করে বিষয়টি লেখেন তিনি। পালটা একটি ভিডিও বার্তায় ধনেখালির তৃণমূল বিধায়ক অসীমা পাত্র লকেটের দাবি খণ্ডন করেন।
লকেটের বিরুদ্ধে পুলিশের পদক্ষেপ নিয়ে অসীমা পাত্র (Ashima Patra) বলেন, "আইন আইনের কাজ করেছে। ইতিমধ্যেই মানুষ মিথ্যাচারের জবাব দিয়েছেন। হুগলি গ্রামীণ পুলিশের এক কর্তা বলেন, "সরকারি কাজে বাধাদান ও পুলিশ কর্মীদের অপমানজনক উক্তির অভিযোগে লকেট চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর দুই দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তাঁদের নোটিস পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।"