সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে (Bangladesh) বয়স্ক মানুষজনের মধ্যে বিয়ে করার প্রবণতা দিনদিন বাড়ছে। ধনী-দরিদ্র বা উচ্চবিত্ত-নিম্নবিত্ত। সম্প্রতি বেশি বয়সে বিয়ে (Marry) করা আলোচনায় আসেন প্রয়াত বিদেশমন্ত্রী আবদুস সামাদ আজাদ, রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, বর্তমান রেলমন্ত্রী মহম্মদ নূরুল ইসলাম সুজন প্রমুখ। এবার স্ত্রী-সন্তান থাকা সত্ত্বেও এবার ৬০ বছর বয়সে এক তরুণীর পানিগ্রহণ করলেন দেশের পূর্বাঞ্চলীয় জেলা হবিগঞ্জ-১ আসনের প্রাক্তন সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান এম এ মুনিম চৌধুরী বাবু। রবিবার অনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হলেন তিনি। পাত্রী একজন কলেজছাত্রী। তাঁর নাম তানিয়া আখতার।
হবিগঞ্জ-১ আসনের প্রাক্তন সংসদ সদস্য, মুনিম চৌধুরী বাবু এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক। তাঁর প্রথম স্ত্রী ও দুই বিবাহিত সন্তান ব্রিটেনে (UK) বসবাসকারী। নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি গ্রামের মুনিম চৌধুরী বাবু ২০১৪ সালে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হবিগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সংসদ সদস্য থাকাকালীন সময়ে পরিচয় হয় একই উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের সাতাইহাল মোকামপাড়া গ্রামের কনা মিঞার মেয়ে কলেজছাত্রী তানিয়া আক্তারের সঙ্গে। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে প্রণয়ের পর পারিবারিকভাবে বিয়ের আয়োজন করা হয়।
[আরও পড়ুন: জ্ঞানবাপী মসজিদে শিবলিঙ্গ! আইনজীবীর দাবির পরই নির্দিষ্ট এলাকা সিল করার নির্দেশ আদালতের]
রবিবার চৌধুরী বাবুর বিয়েতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, আত্মীয়স্বজন অংশ নেন। বিয়ের অনুষ্ঠানিকতা শেষে কনেকে নিয়ে বাড়ি ফেরেন মুনিম চৌধুরী বাবু। ৬০ বছর বয়সে তাঁর এই বিয়ের ছবি ফেসবুকে ভাইরাল (Viral) হয়ে পড়েছে। এ প্রসঙ্গে বাবু বলেন, ”আমার প্রথম স্ত্রী, দুই সন্তান যুক্তরাজ্যে বসবাস করেন, দেশে আসেন না। বাংলাদেশে আমি একাকিত্ব জীবন অতিবাহিত করছি। সেই জন্যই মূলত পারিবারিকভাবে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছি।”
[আরও পড়ুন: ‘মমতাই এখনও বিরোধী মুখ, কংগ্রেস নয়’, ‘জাগো বাংলা’য় রাহুল গান্ধীর বক্তব্যের পালটা তৃণমূলের]
এর আগে ৯০ বছর বয়সে বিয়ে করেছেন কুমিল্লা (Comills) জেলা আইনজীবী সমিতির পাঁচবারের সাবেক সভাপতি মহম্মদ ইসমাইল। তাঁদেরও বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম (Social Media) ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এই বিয়ে নিয়ে চলেছে বিস্তর আলোচনা। অনেকে তাঁকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। কুমিল্লা আইনজীবী সমিতির প্রবীণ সদস্য মহম্মদ ইসমাইল ১৯৪৭ সালে ম্যাট্রিক পাস করেন। ১৯৪৯ সালে ইন্টারমিডিয়েট ও পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগে পড়াশোনা করেন।