তারক চক্রবর্তী, শিলিগুড়ি: মৃগনাভি ও উড়ন্ত কাঠবিড়ালির ছাল পাচারের আন্তরাজ্য চক্রে যুক্ত সন্দেহে বন দপ্তরের জালে সিকিম পুলিশের এক প্রাক্তন ডেপুটি সুপার। তাঁকে প্রায় তিন কোটি টাকা মূল্যের ওই পাচার সামগ্রী-সহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে বৃহস্পতিবার। বন দপ্তর সূত্রে খবর, ধৃতর নাম ড্যানি ভুটিয়া। সিকিম পুলিশের ওই ডিএসপি গতবছর অবসর নেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে একটি হোটেল থেকে ড্যানি ভুটিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। শিলিগুড়িতে হোটেলে বসে মৃগনাভি ও উড়ন্ত কাঠবেড়ালির ছাল পাচার করার আগে ধরা পড়েন ওই প্রাক্তন পুলিশ কর্তা। বন দপ্তর জানিয়েছে, ওই হোটেলে থাকা অন্য এক ব্যক্তি ওই প্রাক্তন পুলিশ কর্তাকে টেলিফোনে অন্য কারও সঙ্গে ওই সামগ্রী হাতবদল নিয়ে কথা বলতে শুনে বনদপ্তরে খবর দেন। খবর পেয়ে বাগডোগরা রেঞ্জের বনকর্মীরা অভিযান চালান। এরপর ধৃতের কাছে থাকা ব্যাগে তল্লাশি করে মৃগনাভি ও উড়ন্ত কাঠবেড়ালির ছাল উদ্ধার হয়। যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় তিন কোটি টাকা বলেই বনদপ্তর দাবি করেছে।
[আরও পড়ুন: প্রেমিকাকে খুন করে আত্মঘাতী! যুবকের মোবাইলেই মিলল অপরাধের সংকেত]
ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রাথমিকভাবে বনদপ্তরের আধিকারিকেরা জানতে পেরেছে, নেপাল থেকে ওই বন্যপ্রাণীর দেহাংশগুলি নিয়ে আসা হয়েছিল। সেগুলো দিল্লিতে পাঠানো হত। ওই হোটেলে দিল্লির এক ব্যক্তির আসার কথা ছিল। এর পর সেখানে হাতবদলের পরিকল্পনা ছিল। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অন্য ব্যক্তির খোঁজ চালাচ্ছে বনদপ্তর। ওইসব সামগ্রী নেপাল থেকে আনা হয়েছিল বলেই ধারনা বনদপ্তরের। বাগডোগরা বনাঞ্চল রেঞ্জের রেঞ্জার সোনাম ভুটিয়া বলেন, “এই ধরণের কাঠবিড়ালির ছাল পাচার অবিশ্বাস্য। মৃগনাভিও অত্যন্ত দুষ্প্রাপ্য বন্যপ্রাণীর দেহাংশ। হোটেলে থাকা ওই ব্যক্তিকে অনেক ধন্যবাদ যিনি এই পাচার প্রসঙ্গে আমাদের খোঁজ দিয়েছেন। এই চক্রে আর কে বা কারা আছে, তার খোঁজ চলছে।”