সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পর্নস্টারদের কি গোপনীয়তা বলে কিছু থাকতে নেই?
এই প্রশ্নটাই এখন তুলে ধরেছেন বছর তিরিশের মারিয়া ওজাওয়া। যদিও এখন আর নীলছবিতে অভিনয় তাঁর পেশা নয়। এখন তিনি ফিলিপাইনসের ম্যানিলার এক পানশালার মালকিন!
কিন্তু একশোরও বেশি নীলছবিতে ইতিমধ্যে তাঁকে দেখেছেন অনেকেই! কখনও পুরুষের সঙ্গে, কখনও নারীর সঙ্গে, কখনও বা দলীয় যৌথ মৈথুনে ধরা দিয়েছে তাঁর লীলায়িত শরীরটি! ফলে, বর্তমান জীবিকার অনুমতিপত্রটি রিনিউ করাতে তিনি যখন পৌঁছলেন ফিলিপাইনসের ইমিগ্রেশন দফতরে, এক নজরেই তাঁকে চিনে ফেললেন ইমিগ্রেশন অফিসাররা!
এর পরের ঘটনা সংক্ষিপ্ত। মারিয়া তাঁর পাসপোর্টটি জমা দিয়ে চলে গেলেন নিশ্চিন্ত মনে। তাঁর যা কর্তব্য ছিল, তা পালন করা হয়ে গিয়েছে। এর পর বাকি দায়িত্ব ইমিগ্রেশন অফিসারের যাঁর কাছে তিনি পাসপোর্টটি জমা দিয়ে এসেছেন!
তবে ওই অফিসার কিন্তু নিজের দায়িত্ব পালন করেননি। উল্টে তিনি মারিয়ার পাসপোর্টটি আপলোড করে দিয়েছেন ইন্টারনেটে। সঙ্গে লিখেছেন, ”বাজি ধরছি এই মহিলাকে আপনারা সবাই চেনেন!” খানকতক কান্না আর হাসির স্মাইলি দিয়ে পোস্টটি ছাড়েন তিনি ইন্টারনেটে!
মারিয়া কিন্তু এসবের কিছুই জানতেন না। এক বন্ধু ওই ফেসবুক পোস্টটি দেখে তাঁকে গোটা ব্যাপারটা জানান। মারিয়া পোস্টটা দেখেন। এবং কেঁদে ফেলেন!
”প্রাক্তন পর্নস্টার বলে কি আমি মানুষকে বিশ্বাসও করতে পারব না? কোনও সাধারণ মানুষ যদি এই কাজটা করতেন, আমার কিছু বলার থাকত না। কিন্তু ইমিগ্রেশন অফিসার, যাঁদের বিশ্বাস করে আমরা আমাদের গোপন নথি তাঁদের হাতে তুলে দিই, সেই তাঁরাই যদি এমনটা করেন, তবে নিরাপত্তা বলে কিছু কি আর থাকে?” দু’ চোখ জল নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন মারিয়া।
অবশ্য এত কিছুর পরেও ওই ইমিগ্রেশন অফিসারের নামে আদালতে মামলা দায়ের করেননি মারিয়া। কেন না, এই ব্যবস্থার একটা বিহিত করা হবেই- এমনটাই আশ্বাস তাঁকে দিয়েছে ইমিগ্রেশন দফতর। আপাতত সেই মর্মে তারা ঘটনাটার তদন্তে নেমেছে।
The post ফেসবুকে গোপন তথ্য ফাঁস, কেঁদে ফেললেন প্রাক্তন পর্নস্টার! appeared first on Sangbad Pratidin.