সুমিত বিশ্বাস ও কল্যাণ চন্দ: ভোট পরবর্তী হিংসায় (Post Poll Violation) ফের রক্তাক্ত বাংলা। এবার হামলার শিকার দুই তৃণমূল নেতা। পুরুলিয়ায় আক্রান্ত শহর তৃণমূলের সভাপতি তথা প্রাক্তন কাউন্সিলর বিভাসরঞ্জন দাস। মুর্শিদাবাদে এক তৃণমূল নেতার গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা এবং গুলি ছোঁড়ার অভিযোগ উঠেছে।
প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলরের উপর হামলার ঘটনায় সরগরম পুরুলিয়ার (Purulia) রাজনৈতিক মহল। মঙ্গলবার রাতে বিটি রোডের কাছে আসছিলেন পুরুলিয়া শহর তৃণমূলের সভাপতি তথা প্রাক্তন কাউন্সিলর বিভাসরঞ্জন দাস। অভিযোগ, সেই সময় পুরুলিয়ার বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায়ের ভাই প্রদীপ মুখোপাধ্যায় দলবল নিয়ে তাঁর উপর হামলা চালায়। জখম প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলরকে প্রথমে পুরুলিয়ার দেবেন মাহাতো হাসপাতালে ভরতি করা হয়। তাঁর মাথার চোট গুরুতর। এদিকে, মারধরের ছবি তুলতে গিয়ে জখম হন এক চিত্র সাংবাদিকও। তবে হামলার অভিযোগ খারিজ করেছে পদ্ম শিবির। জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী জানান, তৃণমূলই প্রথম তাদের উপর হামলা চালিয়েছে। পুলিশ সুপার জানান, এই ঘটনায় গ্রেপ্তার বিজেপি বিধায়কের ভাই প্রদীপ মুখোপাধ্যায় এবং ১৩ নং ওয়ার্ডের বিজেপি (BJP) কর্মী হিরন্ময় কর্মকার। পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘যশে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত পূর্ব মেদিনীপুর’, পরিদর্শনের পর মত কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের]
এদিকে, মঙ্গলবার রাতে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুর থানার প্রান্তিক পাড়া এলাকা দিয়ে গাড়ি করে ফিরছিলেন সাজ্জু শেখ নামে এক তৃণমূল কর্মী। তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ও গুলি ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। তবে ওই ঘটনার পরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। অভিযোগ, কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা পরিকল্পিতভাবে তাঁর গাড়িতে হামলা চালিয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে বহরমপুর টাউন তৃণমূল সভাপতি নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায় এবং বহরমপুর ব্লক তৃণমূল সভাপতি আইজুদ্দিন মণ্ডল ঘটনাস্থলে পৌঁছন। যদিও কংগ্রেসের তরফে হামলার অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করা হয়েছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।