নন্দন দত্ত, সিউড়ি: অনুব্রতর গড়ে শুভেন্দুর হানা! দল ছাড়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্য়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন তৃণমূলের (TMC) জেলা সহ সভাপতি বিপ্লব ওঝা। মঙ্গলবার বিকেলে নলহাটিতে বিজেপির সভায় বিপ্লববাবুর হাতে পুষ্পস্তবক তুলে দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পরে গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নেন বিপ্লব ওঝা। দলবদল নিয়ে বীরভূমের জেলার তৃণমূল মুখপাত্র মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “এবার তো বোঝা যাচ্ছে উনি (বিপ্লব ওঝা) ইচ্ছে করে নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছিলেন। কাজ করেননি।”
এলাকায় অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত ছিলেন বিপ্লব ওঝা। কিন্তু বিধানসভা ভোটে টিকিট না পাওয়ায় দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে তাঁর। গত দেড়-দু’বছর ধরে একেবারে নিষ্ক্রিয় ছিলেন। দলীয় সূত্রে খবর, বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন বিপ্লব ওঝা। কিন্তু টিকিট দেওয়া হয়নি। জেলা পরিষদের সভাধিপতি পদে তাঁকে বসানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। সেই প্রতিশ্রুতি পালন হয়নি। এরপরই দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে মঙ্গলবার সকালে তৃণমূল ছাড়েন বিপ্লববাবু।
[আরও পড়ুন: রাজ্য পুলিশের আরজি খারিজ, খুনের চেষ্টার মামলায় জামিন পেলেন অনুব্রত মণ্ডল]
তৃণমূলে ছাড়ার পরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে তবে কি এবার বিজেপির পথে বিপ্লব ওঝা? প্রশ্নের জবাবে তিনি জানিয়েছিলেন, “এলাকার মানুষ চাইলে আমি যে কোনও সর্বভারতীয় দক্ষিণপন্থী দলে যোগ দিতে পারি। সেটা বিজেপি হতে পারে আবার কংগ্রেসও হতে পারে।” কিন্তু এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দেখা গেল কেষ্টর গড়ে তৃণমূলে ভাঙন ধরিয়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন জেলার সহ সভাপতি।
প্রসঙ্গত, একসময় বীরভূম জেলা কংগ্রেসের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লক সভাপতি ছিলেন বিপ্লব ওঝা। ২০০৭ সালে নলহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান হন। এরপর ২০০৯ সালে বীরভূম লোকসভা থেকে তৃণমূলের টিকিটে সাংসদ পদে শতাব্দী রায় জেতার পরেই সমস্ত কাউন্সিলর নিয়ে তৃণমূল যোগদান করেন বিপ্লব ওঝা। সেই প্রথম নলহাটি পুরসভা তৃণমূলের দখলে আসে। পরবর্তী সময় বিপ্লব ওঝাকে নলহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান করা হয়। এবার তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিলেন।