অর্ণব আইচ: ছুটিতে গিয়েছিলেন এক কর্মী। সেই জায়গায় রীতিমতো ছক কষে সংস্থায় ‘চোর’ ঢোকায় একটি চক্র। নিয়োগ হওয়ার পরই সংস্থার ৩০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে পালায় সে। শাহিদ আলি নামে একবালপুরের বাসিন্দা ওই অভিযুক্ত-সহ চক্রের চারজনকে গ্রেপ্তার করেছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। বাকি তিনজন হচ্ছে ওয়াটগঞ্জের আব্দুল শাহবাজ ওরফে রিংকু, আবদুল নাসের ও ইমতিয়াজ খান। তাদের মধ্যে আবদুল নাসেরই হচ্ছে মাস্টারমাইন্ড।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই সংস্থাটির অফিস দক্ষিণ শহরতলির ঠাকুরপুকুরের শখের বাজারে। এখানেই আকাশ নামে এক যুবক টাকা বহনকারীর কাজই করেন। বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করা টাকা তিনি অফিস ও ব্যাংকে পৌঁছে দেন। সম্প্রতি আকাশ ছুটিতে যান।
[আরও পড়ুন: মার্চে মাধ্যমিক, এপ্রিলে উচ্চমাধ্যমিক, স্কুলে গিয়ে খাতা কলমেই পরীক্ষা, জমা পড়ল প্রস্তাব]
সেই জায়গায় সংস্থার পক্ষ থেকে কর্মী খোঁজা শুরু হয়। সেই সুযোগই নেয় এই চক্রটি। ওই সংস্থার পক্ষ থেকেই আকাশের বদলে নিয়োগ হওয়া অন্য এক কর্মীকে সল্টলেকে অন্য একটি সংস্থায় গিয়ে ইন্টারভিউ দিতে বলা হয়। আরও বেশি বেতনের লোভে নূর নামে ওই ব্যক্তি ইন্টারভিউ দিতে যান।
সেই সুযোগেই ঠাকুরপুকুরের সংস্থাটিতে পাঠানো হয় শাহিদ আলিকে। আর কাউকে না পেয়ে শেষ পর্যন্ত সংস্থাটি শাহিদ আলিকে নিয়োগ করতে বাধ্য হয়। তাকে ৩০ লক্ষ টাকা এক জায়গা থেকে অফিসে পাঠাতে বলা হয়। কিন্তু ছকমতো সেই ৩০ লক্ষ টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যায় ওই ‘চোর’ কর্মী। তার সন্ধান পা পেয়ে সংস্থার মালিক ঠাকুরপুকুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্ত শুরু করেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। বিভিন্ন জায়গা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ২৭ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়। বাকি টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।