অর্ণব দাস, বারাকপুর: ফ্ল্যাট থেকে একই পরিবারের চারজনের পচাগলা দেহ উদ্ধারের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য খড়দহে (Khardah)। ১৯ নং ওয়ার্ড এলাকার এমএস মুখার্জি রোডের একটি ফ্ল্যাট থেকে বাবা,মা ও দুই সন্তানের দেহ উদ্ধার হয় রবিবার দুপুর নাগাদ। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে খড়দহ থানার পুলিশ। প্রাথমিক অনুমান, বাড়ির বাকি সদস্যদের খুন (Killing) করে আত্মঘাতী হয়েছে গৃহকর্তা। প্রত্যক্ষদর্শীরাও একে আত্মহত্যার (Suicide) ঘটনা বলে মনে করছেন।
৫৪, এমএস মুখার্জি রোডের করবী টাওয়ার। এই আবাসনের একটি ফ্ল্যাট থেকে রবিবার দুপুর নাগাদ পচাগলা গন্ধ পান আশেপাশের বাসিন্দারা। তাঁরাই খবর দেন খড়দহ থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফ্ল্যাটের তালা ভেঙে ঢুকে চারজনের দেহ উদ্ধার করে। স্বামী, স্ত্রী ও এক ছেলে ও এক মেয়ের মৃতদেহ পাওয়া যায় ফ্ল্যাটের ভিতর। ঘরের মধ্যে তিন জায়গায় স্ত্রী ও ছেলেমেয়েদের দেহ পড়ে। আর সিলিং ফ্য়ানে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় স্বামীর দেহ। পুলিশের অনুমান, কয়েকদিন আগেই মৃত্য়ু হয়েছে তাঁদের।
[আরও পড়ুন: অল্টম্যানের প্রত্যাবর্তন! চ্যাটজিপিটির স্রষ্টাকে ফেরাতে আলোচনা শুরু ‘ওপেন এআই’ বোর্ডে]
১৯ নং ওয়ার্ড এলাকার স্থানীয় কাউন্সিলর মৌসুমী পাল জানান, ওই ফ্ল্যাটের আসল মালিক অরূপ গঙ্গোপাধ্যায় ফোন করে বলেন যে তাঁর ফ্ল্যাটে থাকেন বৃন্দাবন কর্মকার ও তাঁর পরিবার, তাঁদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না গত ২ দিন ধরে। ফোনেও কোনও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। মৌসুমীদেবী তাঁকে বিষয়টি থানায় জানানোর পরামর্শ দেন। কিন্তু তারই মধ্যে এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে পচাগলা দেহ নিয়ে। তখনই কাউন্সিলর জানতে পারেন, কর্মকার পরিবারের ৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। স্বামী, স্ত্রী ছাড়া তাঁদের ৮ বছরের ছেলে, ১৬ বছরের মেয়েরও মৃত্যু হয়েছে।
[আরও পড়ুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়ান্ট স্ক্রিনে বিশ্বকাপ, মদ-মাদক-বাজি-বহিরাগতে নিষেধাজ্ঞা]
খড়দহ পুরসভার চেয়ারপার্সন নীলু সরকার জানাচ্ছেন, বৃন্দাবনবাবু পেশায় ব্যবসায়ী। এবার এলাকার কালীপুজোয় তিনি মূর্তি, কাপড় সব দান করেছেন। বিসর্জনেও ছিলেন এলাকাবাসীর সঙ্গে। কিন্তু দিনকয়েকের মধ্যে কী এমন ঘটল, যাতে তাঁরা সকলে মারা গেলেন, তা ভেবে বিস্মিত সকলে! বৃন্দাবনবাবুর পরিবারের সদস্যরা ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছন। ভাগ্নি জানাচ্ছেন, মামার চিড়িয়ামোড়ে দর্জির দোকান ছিল। ৫ বছর আগে তা বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। আদর্শপল্লির জমি, বাড়িও বিক্রি করে দিয়েছিলেন বৃন্দাবনবাবু। কিন্তু কী কারণে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল, সে বিষয়ে কোনও আন্দাজ পাচ্ছেন না তাঁরাও।
দেখুন ভিডিও: