সুকুমার সরকার, ঢাকা: সোমবার দেশজুড়ে পালিত হয়েছে বকরি ইদ। সকলকে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আনন্দে মেতে ওঠেন আমজনতা। কিন্তু এই ধর্মীয় উৎসবের দিনেও দেশের নানা প্রান্তে কয়েকটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। হয়েছে প্রাণহানিও।
এদিন, দেশের পূর্ব জেলা নেত্রকোনার কলমাকান্দায় দুষ্কৃতীর ছুরিকাঘাতে মাওলানা আবদুল বাতেন (৬০) নামে এক মসজিদের ইমাম নিহত হয়েছেন। রবিবার গভীর রাতে মসজিদের শয়নকক্ষে তাঁকে ছুরি দিয়ে কোপানো হয়। সোমবার সকালে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁর মৃত্যু হয়। অন্যদিকে, আরেকটি ঘটনা ঘটে লোহাগাড়া উপজেলার মিরিখিলি গ্রামে। সেখানকার গৃহবধু মিজবাহুল জান্নাত তারিনকে খুন করার অভিযোগ উঠল তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। মৃতের মা জানিয়েছেন, বিয়ের পর থেকে তারিনকে যৌতুকের জন্য নানাভাবে নির্যাতন করত আরাফাত নামে ওই অভিযুক্ত যুবক। কুরবানি উপলক্ষে আরাফাত ছাগল দাবি করেন। না পেয়ে তারিনকে গলা টিপে হত্যা করে সে।
[আরও পড়ুন: ‘আক্রান্ত হলে ছেড়ে দেব না’, মায়ানমার সীমান্ত থেকে গুলিবর্ষণ নিয়ে কড়া বাংলাদেশের মন্ত্রী]
এদিকে, কক্সবাজার জেলার রামুতে জবাই করার সময় গরুর গুঁতোয় আবদুল হাকিম নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দা হামিদুল হক বলেন, জবাই করার জন্য দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছিল গরুটিকে। কিন্তু তা ছিঁড়েই ছুটে গরুটি। তখনই পা দিকে হাকিমকে আঘাত করে সেটি। গুরুতর আহত হয়ে মৃত্যু হয় হাকিমের। অন্যদিকে, কুরবানির গরুদের গুঁতোয় বিভিন্ন জেলায় সব মিলিয়ে অন্তত আড়াইশো জন জখম হয়েছেন। শুধু ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাতেই আহতের সংখ্যা একশো জন। ফলে বিভিন্ন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার মধ্য দিয়েই এদিন ইদ পালিত হয়েছে বাংলাদেশে।