সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শেষ বলে ছক্কা মেরে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে জিতিয়েছেন তিনি। একটা ছক্কাই তাঁকে পাদপ্রদীপের আলোয় নিয়ে এসেছে। সজীবন সাজনাকে ‘কেইরন পোলার্ড’ বলে ডাকা হচ্ছে। তাঁর অধিনায়ক হরমনপ্রীত বলেছেন, প্র্যাকটিসে সবসময়েই ছক্কা মারে সাজনা। মোক্ষম সময়ে তাঁর ব্যাট থেকেই এসেছে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেওয়া ওই ছক্কা।
একদিন প্রবল আর্থিক কষ্ট সহ্য করতে হয়েছিল তাঁকে। সেই জায়গা থেকে লড়তে লড়তে সাজনাই জেতাচ্ছেন মুম্বইকে। তিনি নিজেও জিতে যাচ্ছেন। মহিলাদের প্রিমিয়ার লিগের সরকারি ওয়েবসাইটে ইয়াস্তিকা ভাটিয়াকে এক সাক্ষাৎকারে সাজনা বলেছেন, ”আমার পারিবারিক অবস্থা মোটেও ভালো ছিল না। গোড়ার দিকে যাতায়াতের ভাড়া পর্যন্ত ছিল না। রাজ্য দলের হয়ে খেলার জন্য নির্বাচিত হওয়ার পরে আমি অর্থ উপার্জন করতে শুরু করি। একদিনে দেড়শো টাকা করে পেতাম। ওই টাকাই আমার কাছে অনেক ছিল। এরপরে ধীরে ধীরে ১৫০ থেকে ৩০০ হয়ে ৯০০ টাকা পাই। আমার পরিবারের জন্য খুশি।”
[আরও পড়ুন: কাজে ফিরলেন সঞ্জনা, রোমাঞ্চিত বুমরাহ সোশাল মিডিয়ায় করলেন পোস্ট]
মহিলাদের আইপিএলে শুক্রবারই প্রথম অভিষেক ঘটে সাজনার। কিন্তু এত কঠিন পরিস্থিতিতে যে ব্যাট করতে নামতে হবে তাঁকে, তা প্রত্যাশাও করেননি তিনি। কিন্তু সব আলো শুষে নেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি সাজনা। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ”আমি চাপে ছিলাম। অভিষেক ম্যাচে এরকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে, তা আশা করিনি। জানতাম, উতরে দিতে পারলে, জীবন বদলে যাবে। এক বলে পাঁচ রান দরকার ছিল। আমি কঠিন কাজটাকে সম্ভব করার জন্যই মাঠে নেমেছিলাম।” তার পরের ঘটনা ইতিহাস।