সোম রায়, শ্রীনগর: প্রথম দফার নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে মিটলেও ফের অশান্ত জম্মু-কাশ্মীর। শনিবার সকাল থেকেই নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে অশান্ত হয়ে ওঠে উপত্যকার বিভিন্ন অঞ্চল। সকালেই খবর পেলাম সোপিয়ানে দুই জঙ্গি খতম হয়েছে। পুলিশের তরফেই হত জঙ্গিদের নাম পরিচয় প্রকাশ করা হয়েছে। একজন শাহজাহান, আমশিপোরা এলাকার বাসিন্দা। অন্যজন রাওয়ালপোরার বাসিন্দা রইস।
ভারতীয় সেনার ৩৪ আর আর বাহিনী ও সোপিয়ানের স্পেশ্যাল অপারেশনস গ্রুপের কাছে খবর আসে, জঙ্গিরা গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে। তারপরেই শনিবার ভোরে অভিযানে নামে যৌথবাহিনী। সিআরপিএফ-ও এই অভিযানে অংশ নেয়। অভিযান চলাকালীন গোপন ডেরা থেকে বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে শুরু করে জঙ্গিরা। পালটা উত্তর দেয় সেনাবাহিনীও। দু’দলের গুলির লড়াইয়ে দুই জঙ্গি খতম হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর অস্ত্র।
[আরও পড়ুন: ‘ভোট না দিলে চাকরিও দেব না’, মানেকা গান্ধীর মন্তব্যে চরম বিতর্ক]
বিক্ষিপ্ত হিংসা যেমন চলছে তেমনই চলছে নির্বাচনী প্রচারও। ছোট ছোট মাঠে জনা পাঁচশো লোককে নিয়েই এদিন সকালে খানিয়ারে প্রচার সারলেন ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লা। প্রচারমঞ্চ থেকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে বালাকোটে এয়ার স্ট্রাইকের প্রমাণ চাইলেন তিনি। বললেন, “সেনাবাহিনীর সাফল্য নিয়ে তাঁর কোনও সংশয় নেই। কিন্তু সেই সাফল্যের প্রমাণ নিয়ে যে গোপনীয়তা বজায় রাখা হচ্ছে তাতেই সন্দেহ দানা বাঁধছে। ভোটের ময়দানে সেনাবাহিনীর সাফল্যকে মোদির সাফল্য বলে প্রচার করা হচ্ছে। মোদিকে ‘আয়রন ম্যান’ বলা হচ্ছে। কিন্তু কোনও প্রমাণ পেশ করা হচ্ছে না।”
পাশাপাশি তাঁর দাবি, সেনাবাহিনী দেশের সম্পদ। পুলওয়ামা কাণ্ডে কার্যত সেই সম্পদহানি হয়েছে। কিন্তু একসঙ্গে এত বারুদ কীভাবে কাশ্মীর উপত্যকায় ঢুকল তার কোনও সদুত্তর মেলেনি। এই ঘটনার তদন্ত দাবি করে ফারুক আরও অভিযোগ করে বলেন, “এর পিছনে বড় কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে। এটা ঘটানো হয়েছে।” নাম না করেই গোটা ঘটনায় মোদি সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন ফারুক। তাঁর আরও অভিযোগ, পুলওয়ামা কাণ্ডের প্রকৃত কারণ থেকে দেশবাসীর দৃষ্টি ঘোরাতে ‘এয়ারস্ট্রাইক’, ‘আয়রন ম্যান-মোদি’ প্রভৃতি বিষয় নিয়ে যৌথভাবে প্রচার চালাচ্ছে কেন্দ্র ও বিজেপি। কিন্তু দেশের মানুষ তাকিয়ে পুলওয়ামার দিকেই।