shono
Advertisement
Bardhaman

নামী সংস্থার বিস্কুটেও বিপদ! নিষিদ্ধ করল খাদ্য সুরক্ষা বিভাগ, প্রশ্ন বেকারির ক্রিমরোল নিয়েও

জুলাই মাসে শক্তিগড়ে বিভিন্ন ল্যাংচার দোকানে অভিযান চালিয়ে পচা ল্যাংচা বাজেয়াপ্ত করেছিল স্বাস্থ্য দপ্তর।
Published By: Suchinta Pal ChowdhuryPosted: 12:25 PM Sep 19, 2024Updated: 12:41 PM Sep 19, 2024

সৌরভ মাজি, বর্ধমান: একটি নামী কোম্পানির মারি প্লাস বিস্কুট খাওয়া একেবারেই নিরাপদ নয়। কারণ তার নমুনা পরীক্ষায় ‘আনসেফ’ রিপোর্ট এসেছে। স্থানীয় বেকারির ক্রিমরোল বিস্কুটও খাওয়া নিরাপদ নয় বলেও স্বাস্থ্য দপ্তরের খাদ্য সুরক্ষা বিভাগের কাছে রিপোর্ট এসেছে। ভিনরাজ্যের একটি সংস্থার তৈরি ‘ফ্রজেন ডিজার্ট উইথ বিস্কুট কোন’-এর নমুনা পরীক্ষার ফলও আনসেফ এসেছে। তাই বুধবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে পূর্ব বর্ধমানের ডেপুটি সিএমওএইচ-২ তথা জেলার খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক সুবর্ণ গোস্বামী ওই তিন খাদ্যবস্তু তৈরি ও বিক্রি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন।

Advertisement

সংশ্লিষ্ট দোকানদার ও উৎপাদক সংস্থাকে চিঠি দিয়ে তা জানিয়ে দিয়েছে খাদ্য সুরক্ষা বিভাগ। যদিও মারি প্লাস বিস্কুট ও ক্রিমরোলের নমুনা মাস ছয়েক আগে সংগ্রহ করা হয়েছিল। এতদিন পর নিষিদ্ধ ঘোষণা করার যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিস্কুটের যে ম্যাচ নম্বর ও লট নম্বর এতদিন পর নিষিদ্ধ করা হচ্ছে তার সবই কবেই বিক্রি হয়ে গিয়েছে। সাধারণ মানুষ খেয়েও নিয়েছেন।

স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমানের উল্লাসে একটি সংস্থার রিটেল-এ নামী কোম্পানীর মারি প্লাস বিস্কুটের ২৩২ গ্রামের প্যাকেট সংগ্রহ করেছিলেন বর্ধমান-২ ব্লকের খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক। গত ২০ মার্চ এই স্যাম্পেল সংগ্রহ করা হয়েছিল। সেই নমুনার ব্যাচ ও লট নম্বর এম১২বি ও সি১৫, উৎপাদনের তারিখ ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩। সেই নমুনা পরীক্ষা করে আনসেফ বা খাওয়ার জন্য নিরাপদ নয় বলে রিপোর্ট মিলেছে। এদিন জেলা খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক রিটেল সংস্থা ও উৎপাদক সংস্থাকে চিঠি দিয়ে ওই ব্যাচ ও লট নম্বরের বিস্কুট উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।

গত ১ আগস্ট বর্ধমানের বাজেপ্রতাপপুরের হরিনারায়ণপুরছ ঈশিকা ট্রেডার্স নামে একটি দোকান থেকে ‘মিডিয়াম ফ্যাট ফ্রোজেন ডিজার্ট উইথ বিস্কুট কোন’-এর নমুনা সংগ্রহ করেছিলের বর্ধমান-১ ব্লকের খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক। যার ব্যাচ নম্বর বা উৎপাদন তারিখের কোনও উল্লেখ ছিল না। তার রিপোর্ট আনসেফ এসেছে। ওই দোকানদার ও উৎপাদক সংস্থা উত্তর প্রদেশের একটি সংস্থাকে চিঠি দিয়ে ওই প্রোডাক্ট উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধ করতে বলেছে স্বাস্থ্য দপ্তর। কালনা পুরসভার খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক গত ২০ মার্চ সেখানকার একটি বেকারি থেকে ক্রিমরোলের নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন। যার ব্যাচ নম্বর বা উৎপাদন তারিখের কোনও উল্লেখ ছিল না। সেই নমুনার রিপোর্টও আনসেফ এসেছে।

এদিন ওই বেকারির মালিক কৃষ্ণচন্দ্র পালকে চিঠি দিয়ে ক্রিমরোল উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক তথা ডেপুটি সিএমওএইচ-২ সুবর্ণ গোস্বামী। এর আগেও খাদ্য সুরক্ষা দপ্তর বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়েছিল। খাদ্য সামগ্রীর নমুনা সংগ্রহ করেছিল। একটি সংস্থার বিশেষ ব্যাচ নম্বরের দুগ্ধজাত সামগ্রী বিক্রি নিষিদ্ধও করা হয়েছিল। গত ২০ জুলাই শক্তিগড়ে বিভিন্ন ল্যাংচার দোকানে অভিযান চালিয়ে পচা ল্যাংচা বাজেয়াপ্ত করেছিল স্বাস্থ্য দপ্তর। কয়েক টন ছত্রাক ধরে যাওয়া ল্যাংচা মাটিতে পুঁতে নষ্টও করা হয়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • বর্ধমানের উল্লাসে একটি সংস্থার রিটেল-এ নামী কোম্পানীর মারি প্লাস বিস্কুটের ২৩২ গ্রামের প্যাকেট সংগ্রহ করেছিলেন বর্ধমান-২ ব্লকের খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক। গত ২০ মার্চ এই স্যাম্পেল সংগ্রহ করা হয়েছিল।
  • ভিনরাজ্যের একটি সংস্থার তৈরি ‘ফ্রজেন ডিজার্ট উইথ বিস্কুট কোন’-এর নমুনা পরীক্ষার ফলও আনসেফ এসেছে।
  • পূর্ব বর্ধমানের ডেপুটি সিএমওএইচ-২ তথা জেলার খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক সুবর্ণ গোস্বামী তিন খাদ্যবস্তু তৈরি ও বিক্রি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন।
Advertisement