সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পেট্রেল ও ডিজেলের মূল্য হ্রাসের জন্য কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের মধ্যে সমন্বয়ের প্রয়োজন। বৃহস্পতিবার একথা বললেন রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার (RBI) গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। তিনি বলেন, পেট্রেল ও ডিজেলে শুল্কের চাপ কমানো গেলে এর দাম কমিয়ে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দেওয়া যায়। তবে সেই শুল্ক কমাতে কেন্দ্র ও রাজ্যকে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করতে হবে। কারণ পেট্রেল ও ডিজেলের উপর কেন্দ্র ও রাজ্য উভয়েই শুল্ক বসিয়ে থাকে।
গতকাল বণিকসভা বম্বে চেম্বার অফ কমার্সের একটি অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর বলেন, রাজস্বের প্রয়োজনীয়তা এবং সরকারগুলির বাধ্যবাধকতা পুরোপুরি বোঝা যায়। তবে মুদ্রাস্ফীতিতেও এর প্রভাব পড়ছে। বলা যেতে পারে, যা পেট্রল এবং ডিজেলের দাম উত্পাদন, ব্যয়ের উপর প্রভাব ফেলে। তাঁর কথায়, বিভিন্ন পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির উপর পেট্রল ও ডিজেলের দামের প্রভাব পড়ে। পেট্রল ও ডিজেলের দাম বেড়ে গেলে বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়ে। আশা করি, কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারগুলি পেট্রল ও ডিজেলের দামের বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেবে।”
[আরও পড়ুন: আম্বানির বাড়ির সামনে বিস্ফোরক ভরতি গাড়ি, উদ্ধার ২০টি জিলেটিন স্টিক ও বেনামি চিঠি!]
প্রসঙ্গত, জ্বালানির ঊর্ধ্বমুখী মূল্য নিয়ন্ত্রণে বেশ কয়েকটি রাজ্য ইতিমধ্যেই উদ্যোগী হয়েছে। কংগ্রেস (Congress) শাসিত রাজস্থান এবং ছত্তিশগড় পেট্রপণ্যের উপর করছাড় দিয়েছে। বিজেপি শাসিত অসম করোনাকালে পেট্রল এবং ডিজেলের উপর যে অতিরিক্ত সেস বসিয়েছিল, তা প্রত্যাহার করেছে। একধাক্কায় অনেকটা দাম কমিয়েছে মেঘালয় সরকার। পশ্চিমবঙ্গ সরকারও পেট্রল-ডিজেলে একটাকা করে সেস কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সব মিলিয়ে ১৮টি রাজ্য ইতিমধ্যেই পেট্রোপণ্যে ভ্যাট কমিয়েছে। অথচ, সে তুলনায় কার্যত নির্বিকার কেন্দ্র সরকার। কেন্দ্র দায় সেরেছে জিএসটি কাউন্সিলে পেট্রোপণ্যের অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব দিয়েই। পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান (Dharmendra Pradhan) বলেছেন, কেন্দ্র সরকার শুরু থেকেই পেট্রল এবং ডিজেলকে জিএসটি কাউন্সিলের আওতায় আনার পক্ষে। এতে সাধারণ মানুষের উপকার হবে। তবে, এই সিদ্ধান্ত পুরোপুরিই জিএসটি কাউন্সিলকে নিতে হবে।