সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আকাশগঙ্গা! ছায়াপথের এই আশ্চর্য ঠিকানায় এবার হদিশ মিলল এক সুদীর্ঘ সূক্ষ্ম গ্যাসীয় মেঘের। আকাশগঙ্গার (Akash Ganga) মুকুটে পালকের মতো ছড়িয়ে থেকে তার দুই বাহুকে যুক্ত করা এই অপার্থিব দ্যুতির নাম দেওয়া হয়েছে গঙ্গোত্রী (Gangotri)। বিরল এই দৃশ্য দেখে বিস্মিত বিজ্ঞানীরা। ‘দ্য অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল লেটার্সে’ প্রকাশিত হয়েছে এই সংক্রান্ত গবেষণাপত্রটি।
আকাশগঙ্গার এই গঙ্গোত্রীটির হদিশ দিয়েছেন ভারতীয় মহিলা জ্যোতির্বিজ্ঞানী ভি এস বীণা। কিন্তু কেন এটিকে গঙ্গোত্রী নাম দেওয়া হল? আসলে গঙ্গার উৎস হিমবাহ গঙ্গোত্রীর মতোই এই তরঙ্গের ঠেউয়ের মতো আকৃতি এবং আশ্চর্য গঠনের কারণেই এই নামকরণ।
[আরও পড়ুন: মেঘালয়ে সংগঠনের কাজ এগোচ্ছে তৃণমূল, দলের রাজ্য সভাপতির নাম ঘোষণা করলেন মমতা]
এ সম্পর্কে বলতে গিয়ে ভারতীয় গবেষক বীণা জানিয়েছেন, ”এই ধরনের আশ্চর্য গঠনের আণবিক মেঘ, যা ছায়াপথের বাহুগুলিকে যুক্ত করেছে তেমন কিছু এখনও পর্যন্ত ছায়াপথে দেখা যায়নি। এই পেপারের শীর্ষ লেখক হিসেবে আমার মনে হয়েছিল এর একটা ভারতীয় নামই দেওয়া হোক। যেহেতু মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিকে আমরা আকাশগঙ্গা বলি, তাই আমার মনে হল গঙ্গার উৎস গঙ্গোত্রী হিমবাহের নামানুসারেই এর নামকরণ যথার্থ হবে।”
এই আণবিক মেঘটি কতটা দীর্ঘ? গবেষকদের ধারণা, এই দীর্ঘ ঢেউয়ের মধ্যে ধরে যেতে পারে প্রায় ৯০ লক্ষ নক্ষত্র! সুতরাং তা যে কতটা ব্যাপক বিস্তৃত, তা সত্যিই চমকে দেয়। এই তরঙ্গটির গতিপথ ঠিক সহজ নয়। বরং তা বেশ জটিল।
বিজ্ঞানীদের কাছে আকাশগঙ্গার গুরুত্ব অপরিসীম। আসলে এই আকাশগঙ্গাই সৌরজগতের ‘বাড়ি’। এই ছায়াপথের মূলত দু’টি বাহু। যা একেবারে শেষে অসংখ্য নক্ষত্রে ঘেরা এক অঞ্চলে যুক্ত হয়েছে। নাসার তথ্যানুসারে, এই বাহুগুলির মধ্যে প্রাচীন নক্ষত্রের পাশাপাশি অজস্র নবীন নক্ষত্রও রয়েছে। আমাদের সূর্য অবশ্য ওই দুই বাহু থেকে উদ্ভূত এক শাখা বাহু ‘ওরিয়ন আর্ম’-এর মধ্যে অবস্থান করছে।